ফাইল চিত্র
শুধু মেসি নন। সেই তালিকায় রয়েছে পুরো আর্জেন্তিনা ফুটবল দল। সেই ফ্লাইট, সেই ব্রাজিল থেকে ফেরা। ব্রাজিল থেকে বলিভিয়ান লা মিয়া ফ্লাইটেই চেপেছিলেন মেসিরা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচ ছিল ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। চাপেকোয়েনস টিম নিয়ে দু’সপ্তাহ পর ভেঙে পড়েছিল এই প্লেনটিই। ১৮ মিনিটের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন মেসিরা, দাবি ব্রাজিলের এক ওয়েব সাইটের। এই ফ্লাইটেই আর্জেন্তিনা দল এয়ারে কাটিয়েছিল চার ঘণ্টার বেশি সময়। যে প্লেনটি ট্যাঙ্ক ভর্তি জ্বালানি নিয়ে উড়তে পারে চার ঘণ্টা ২২ মিনিট।
আরও পড়ুন- ব্রাজিলের ফুটবল টিম নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান, মৃত ৭৬, বাঁচলেন ৫ যাত্রী
১১ নভেম্বর ব্রাজিল থেকে বুয়েনাস আইরেসে ফেরার জন্য এই ফ্লাইটেই উঠেছিলেন মেসি, আগুয়েরো, ডি’মারিয়ারা। যখন সেই ফ্লাইট মাটি স্পর্শ করে, ততক্ষণে জ্বালানি শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। হাতে ছিল মাত্র ১৮ মিনিট। যদিও এয়ারক্র্যাফট অথরিটির তরফে দাবি করা হয়েছে, ফ্লাইট ল্যান্ড করার সময়ের থেকে ৪৫ মিনিট বেশি জ্বালানি থাকে। যা খবর তাতে আর ১৮ মিনিট আকাশে থাকলেই একই ভবিষ্যৎ হতে পারত মেসিদের ফ্লাইটের।
২৮ নভেম্বর ভোর রাতে মেডেলিনের কাছে ভেঙে পড়ে লা মিয়ার এই ফ্লাইট। সেই প্লেনেই ছিল ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাব চাপেকোয়েনস এফসি-র পুরো টিম। মৃত্যু হয়েছিল মোট ৭১ জনের। সেই তালিকায় ১৯জন ফুটবলার। প্রাণে বেঁচেছিলেন তিন ফুটবলার-সহ পাঁচ জন। বিমান ভেঙে পড়ার মূল কারণই ছিল জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া। জায়গা না পাওয়ায় নামতে পারেনি সেই প্লেন। দীর্ঘ সময় নামতে না পেরে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায়ই ভেঙে পড়ে সেই প্লেন।
আরও পড়ুন- খেলা-জগৎকে নাড়িয়ে দেওয়া ভয়াবহ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা