অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে তখন তিনি ইতিহাসের খুব কাছাকাছি। উইম্বলডন খেতাব জিতলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন স্টেফি গ্রাফের ২২টি গ্র্যান্ড স্লামের রেকর্ড। সেরেনা উইলিয়ামস-এর স্থির দৃষ্টি যখন সোনার থালায় নিবদ্ধ, অনেকের চোখ তখন তার সাদা ধবধবে জামার বুকের কাছে। যেখানে ফুটে উঠেছে স্তনবৃন্ত।
ইতিহাস রচনার মুহূর্তে বডিশেমিং-এর শিকার হলেন সেরেনা! অথচ কেউ জানতে চাইল না, স্বপ্নকে ছোঁয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে ঠিক কতটা অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হতে পারে বিশ্বের এক নম্বরের? সোনার থালা জড়িয়ে ধরার আগে উত্তেজনায় ঠিক কতটা ওঠানামা করতে পারে বুক! অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর ঘামে ভেজা পোশাকের উপর দিয়ে শরীর ফুটে ওঠাটাই তো স্বাভাবিক! শুধু নারী নয়, পুরুষেরও একই অবস্থা হয়। আর স্বাভাবিক সেই ঘটনাকে এমন যৌনতার চোখে দেখার প্রতিবাদে নিজের ব্লগেই ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খন্না। যৌনতার মোড়কে নারীবিদ্বেষী এই ঘটনায় সরব হয়েছেন ‘মিসেস ফানিবোনস’।
টুইঙ্কল লিখছেন, ‘‘গত সপ্তাহে সেরেনা যখন জীবনের ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব জিততে চলেছেন তখনও সাদা টেনিস আউটফিটের মধ্যে দিয়ে তাঁর স্তনবৃন্তেই আটকে গিয়েছে অনেকের চোখ।’’ এখানেই থেমে থাকেননি অভিনেত্রী। এর পর আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘হ্যাঁ, ওঁর স্তনবৃন্ত রয়েছে। আমারও রয়েছে। আমার ৭০ বছর বয়সী প্রতিবেশী শার্টের নীচে ইনার পরা সত্ত্বেও তাঁর বৃন্ত ফুটে ওঠে মাঝে মাঝে। তবে, সেরেনার বৃন্ত নিয়ে এত কথার কারণ আমি জানি।’’ তাঁর প্রশ্ন, জীবনের সেরা সময়, কেরিয়ারের শীর্ষে থাকা এক জন কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে আর কী ভাবেই বা টেনে নীচে নামাবেন এই সব মানুষরা?
তিনি নিজেও ‘লিয়েন্ডার পেজ ইন ওয়েট টি-শার্ট’ গুগ্লে সার্চ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ‘লিয়েন্ডার পেজ ইন ওয়েট টি-শার্ট’ সার্চ দিই এবং পেয়েও যাই ছবি। টেনিস কোর্টে ঘামে ভেজা নীল টি-শার্টের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে লিয়েন্ডারের স্তনবৃন্ত।’’ তাঁর পরেই প্রশ্ন তোলেন তিনি, ‘‘আমার পোস্টের পর সবাই এত চুপ কেন? তবে দুঃখজনক ব্যাপার মিসোজিনির গণ্ডিতে শুধু পুরুষরা নয়, মহিলারাও আটকে রয়েছে। তাই লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন, মহিলাদের অবশ্যই বিচার করুন। ঠিক যে ভাবে পুরুষদের করেন। তাঁদের দক্ষতা, প্রতিভা, একাগ্রতা ও সাফল্যের নিরিখে।’’
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপনী ভিডিওয় দীপিকার পাশের এই খেলোয়াড়দের চেনেন?