রেনি ও ফিল। দুই যমজ বোন। ১০০ বছর আগে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন একসঙ্গে। ১০০ বছর পর একসঙ্গে উদ্যাপন করলেন তাঁদের শতবর্ষ। পরিবার, পরিজনদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছিল গত নভেম্বরের সন্ধের সেই ‘সানডে রোস্ট’। গোটা পরিবারের কাছেই যে তাঁরা দারুণ স্পেশ্যাল। কেমন কেটেছে দুই বোনের ১০০ বছরের জীবন?
শেয়ার
আইরিন (রেনি) ক্রাম্প ও ফিলি জোনস। প্রতিটা জন্মদিনই তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। ১৯তম জন্মদিনে যেমন একে অপরকে ছাড়া ভাবতেই পারতেন না, ৯৯তেও সেই টান একটুও কমেনি। একই স্কুলে পড়েছেন, দু’জনেরই প্রথম চাকরি সিয়াটেল পোর্সেলিন প্রডাক্টসে। এর পরেই রেনির বিয়ে হয় স্যামুয়েল ক্রাম্পের সঙ্গে। চেহারায় প্রচুর মিল থাকলেও আইডেন্টিকাল নন আইরিন ও ফিলি। একে অপরের ফার্স্ট নেম নিজেদের মিডল নেম হিসেবে ব্যবহার করেন।
১০০ বছর
১৯১৬ সালের ২০ নভেম্বর জন্ম তাঁদের। ফিলি বড়, আইরিন ছোট। দুই বোনই এখন ওরসেস্টরের স্টুর্টপোর্টের বাসিন্দা। রেনি বলেন, সারা জীবন আমরা একে অপরকে ছাড়া ভাবতেই পারতাম না। এখনও একসঙ্গে থাকি। পাঁচ বছর আগে ফিলি আমার সঙ্গে থাকতে আসে।
স্বাস্থ্য
দু’জনেরই স্বাস্থ্য বেশ ভাল। ফিলি এখনও প্রতি দিন হাঁটতে বেরোলেও, আইরিন এখন আর বেশি হাঁটতে পারেন না। আইরিন জানালেন, তিনি বরাবরই ফিলির থেকে মোটা ছিলেন। তবে বয়সের কারণে ভ্যাসকুলার ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ফিলি। ছেলে কার্ল ও পুত্রবধূ রোজ দেখতে আসেন তাঁকে।
জন্মদিনের উপহার
১০০ বছরের জন্মদিনে একটাই উপহার চেয়েছিলেন তাঁরা। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ত্রাণ।
দীর্ঘজীবনের সিক্রেট
আইরিন জানালেন, খাওয়া দাওয়ার প্রতি যত্ন ও পরিশ্রম। জীবনের প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গিই ইউরোপীয় এই যমজ বোনকে শতায়ু করেছে।
স্বনির্ভরতা
জিনগত ভাবেই দীর্ঘায়ু এই পরিবার। ২০০৬ সালে ৯২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় আইরিন ও ফিলির বড় দিদির। আইরিনের স্বামী স্যামুয়েল ১৯৯৯ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান। ২০০৬ ৯১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ফিলির স্বামীর। আইরিন নিঃসন্তান। ফিলির একমাত্র পুত্র কার্ল। অবসরপ্রাপ্ত কার্ল জানালেন, ওরা স্বনির্ভর। একা থাকেন। কোনও সমস্যায় পড়লে আমাকে ফোন করেন।
পার্থক্য
কার্ল বলেন, ‘‘দুই বোন হরিহর এক আত্মা হলেও চরিত্রগত ভাবে আলাদা। আন্টি রেনি বরাবরই খুব গোছানো এবং শান্ত। কিন্তু মা বেশ অগোছালো ও চঞ্চল।’’
আরও পড়ুন: ক্যানসারকে হারিয়ে ১৭ বার মিসক্যারেজের পর চার সন্তানের মা হলেন ইনি