মডেল হওয়ার আগে (বাঁ দিকে) এবং মডেল হওয়ার পরে আশা (ডান দিকে)
এ যেন এক রূপকথার মতো। পরিচারিকা থেকে সোজা উত্তরণ একজন মডেল হিসাবে। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন মনদীপ নেগি নামে এক ডিজাইনার। গল্পটার শুরুও এখান থেকেই।
মনদীপের বাড়ি হরিয়ানায়। তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার ঠিক উল্টো দিকেই একটি ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করেন আশা (পরিবর্তিত নাম)। পরিচারিকার কাজ করেই সংসার চালাত সে। ছোট্ট খুপরির মধ্যে দুই ছেলেমেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে তাঁর সংসার। মনদীপের অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে ছিল এমন একজনকে তিনি মডেল হিসাবে তুলে ধরবেন, যিনি হবেন ট্র্যাডিশনাল মডেলিং থেকে অনেকটাই আলাদা। হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়নি নেগিকে। কোনও নামকরা মডেলের কাছেও ছুটে যেতে হয়নি। পেয়ে গেলেন হাতের কাছেই। মডেলিংয়ের সব খোরাকই পেয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাড়িতে কাজ করতে আসা আশার মধ্যে। তাঁকে প্রস্তাবটা দিয়েই ফেলেন মনদীপ।
প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি আশার। কী শুনছেন তিনি? এ কী সত্যি, নাকি স্বপ্ন! একজন পরিচারিকাকে মডেল করার প্রস্তাব কেন দিচ্ছেন মনদীপ— মজা করছেন না তো ? মনে মনে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে আশার। প্রস্তাবটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য মনদীপের কাছে সময় চেয়ে নেন তিনি। অবশেষে রাজিও হয়ে যান।
মনদীপ জানিয়েছেন, আশা যখন প্রথম ফোটোশুট করে, দেখে মনেই হয়নি এই প্রথম ও ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছে। আজ আশা অন্যতম সেরা মডেল। আশার নিজেরও ধারণা ছিল না ও যে এত সুন্দর! মডেলিংয়ের জন্য পোশাক পরে, মেকআপ করে যখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, চমকে ওঠেন নিজেকে দেখে, তিনি সত্যিই আশা তো! তাঁর মধ্যে যে এই রূপ সুপ্ত অবস্থায় ছিল সেটা মনদীপের হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ পেল। আর মনদীপকেও নিরাশ করেননি আশা, প্রমাণ করে দেখিয়েছেন তাঁকে মডেল হিসাবে বেছে নিয়ে কোনও ভুল করেননি মনদীপ।
আরও পড়ুন...