বিদীপ্তা চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ। এটা একটা ইনফরমেশন। তথ্য। আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ক্যালেন্ডারে একটা দিন মেয়েদের বলে মার্ক করে দিয়ে কোনও লাভ হয়েছে কি?
আমরা যারা তথাকথিত শহুরে, রোজগেরে, নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নিতে পারি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, তাদের পক্ষে শহরে বসে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের ঠিক কী কী ফেস করতে হচ্ছে বোঝা অসম্ভব। প্রতি দিন, প্রতি মুহূর্তে। তাদের লড়াইটা অনেক, অনেক কঠিন। তবে এটুকু বলতে পারি, কোথাও আমরা এগোইনি। নিজেদের প্রশ্ন করতে পারি, কেন এগোইনি?
ধরুন, মেয়ের বয়স ১৪ হোক বা ৪০— এখনও রাস্তায় পোশাক নিয়ে টিটকিরি শুনতে হয়। সেখানে বয়সের কিন্তু কোনও মাপ নেই। মেয়ে মাত্রেই শুনতে হয়। আবার কর্মক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের কথা যদি ধরেন, পুরুষশাসিত সমাজে মেয়েদের পারিশ্রমিক এখনও কম। এক জন পুরুষ সহকর্মীর সমান দক্ষ হলেও মেয়েটি কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই সমান পারিশ্রমিক পান না। তা হলে আর কোথায় বদলেছি আমরা?
আরও পড়ুন: আমি কে? চেনো কি আমায়?
আরও পড়ুন: সোনালি এখন এই পাড়ার রিকশা দিদিমণি...
নারীদিবস নিয়ে প্রচুর লড়াই, তর্ক চলতে পারে। আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, মূল সমস্যার সমাধানের জন্য মায়েদের এগিয়ে আসতে হবে। ছেলের মায়েদের। ছোট থেকে ছেলেকে শেখাতে হবে, মেয়েদের সম্মান করতে হয়। মেয়েদের ইচ্ছে করলেই অসম্মান করা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা, মেয়েদের মেয়েমানুষ করে রাখা যায় না। তারাও মানুষ। শুধু মানুষ। মেয়েমানুষ নয়…।