ওদেশে এ রকম হামেশাই হয়। কিন্তু এ দেশে এটাই প্রথম!
আপাদমস্তক শাড়িতে মুড়ে ল্যাকমে ফ্যাশন উইক-এর র্যাম্পে হাঁটলেন সুপারমডেল ক্যারল গ্রেসিয়াস। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি ল্যাকমে’র এই শো-তে ক্যাটওয়াক করে আসছেন। তবে এ বছরটা একটু অন্য রকম। এ বছর ক্যারলের জীবনে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। তাঁর সন্তান। সন্তানসম্ভবা ক্যারল তা সত্ত্বেও র্যাম্পে হাঁটতে পিছিয়ে আসেননি। আগেই বলেছি, এ ভাবে ক্যামেরার সামনে আসায় কোনও নতুনত্ব নেই। কিন্তু, ওই যে বললাম, এ দেশে এটাই প্রথম! বেবি বাম্প নিয়ে কোনও মডেল র্যাম্পে হাঁটলেন। তবে নিছক ছকভাঙার জন্য নয়, জীবনের স্বাভাবিক নিয়মকে সহজ ভাবে তুলে ধরতেই এ অ্যাসাইনমেন্টে রাজি হয়েছিলেন ক্যারল।
দেশের ফ্যাশন সার্কিটে উপরের দিকে থাকা সুপারমডেল তথা রিয়েলিটি টিভি স্টার ক্যারল কিন্তু একটা ছোটখাটো ‘বিপ্লব’ করে ফেলেছেন। হেভিলি প্রেগন্যান্ট হওয়া সত্ত্বেও তথাকথিত প্রথা ভাঙার জন্য তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন ফ্যাশন জগতের সতীর্থরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছেন তাঁর ক্যাটওয়াকের ছবি।
এর আগে অবশ্য ও দেশে ভ্যানিটি ফেয়ার-এর কভার পেজে বেবি বাম্প-সহ ডেমি মুরের ছবি বেশ আলোড়ন তুলেছিল। এর পরে পরেই প্রেগন্যান্ট হয়ে ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন সেলিব্রিটিরা। সম্প্রতি প্রেগন্যান্ট মডেলদের নিজেদের শো’তে এনেছেন জার্মান ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল ল্যাগারফেল্ড বা ডোলচে ও গাবানা। কিন্তু, এ দেশের ফ্যাশনমঞ্চে এই প্রথম কোনও মডেল এ ‘কাণ্ড’ করলেন। লাইমলাইটের কেন্দ্রে থাকা স্বয়ং ক্যারল জানিয়েছেন, প্রথমে দ্বিধায় থাকলেও এ অবস্থায় র্যাম্পে হাঁটতে রাজি হয়েছেন তিনি। আর শাড়ি পরা নিয়ে ক্যারল বলেন, “ভেবে দেখলাম, এ ধরনের পোশাক তো সমস্ত মহিলাদের কথা মাথায় রেখে বানানো।”
এমনিতেই প্রেগনেন্সির সময় মহিলাদের কর্মক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এই কিছু দিন আগেই তা উঠে এসেছিল একটি বিজ্ঞাপনী ছবিতেও। যোগ্যতা সত্ত্বেও সন্তানসম্ভবা মহিলার পদোন্নতি আটকে দিয়েছিলেন তাঁরই মহিলা বস। সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ শোরগোলও হয়েছিল তা নিয়ে। কিন্তু, ওইটুকুই। এর পর সব চুপচাপ। সে দিক থেকে দেখলে ৩৭ বছরের ক্যারলের ক্যাটওয়াক মাইলফলক হয়ে থাকবে।