মোটা, ছিপছিপে বা কার্ভিশিয়াস। চেহারা যেমনই হোক না কেন শাড়িতে সুন্দর হয়ে ওঠে সব শরীরই। আর যদি ব্লাউজটা হয় মনের মতো তবে শাড়ি যেন কথা বলে ওঠে। জেনে নিন কোন চেহারায় কেমন ব্লাউজ পরলে আপনি নজর কাড়বেন সকলের।
স্তন যখন ভারী
স্তন ভারী হলে শাড়ি পরলে দেখতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই ব্লাউজ যদি ঠিক না হয় তাহলে চেহারায় আসতে পারে অগোছালো ভাব। স্তন ভারী হলে বুকে ঘন এমব্রয়ডারি রয়েছে এমন ব্লাউজ এড়িয়ে চলুন। এতে শরীর দেখতে আরও ভারী লাগবে। তার বদলে প্লেন, হালকা ফেব্রিকের ব্লাউজ বেছে নিন। জর্জেট, ক্রেপ, সাটিন ভাল চলবে। ডিপকাট নেকলাইন চলবে না। কিন্তু বড় করে কাটা পিঠের ব্লাউজ পরলে সুন্দর লাগবে।
স্তন যখন ছোট
এই চেহারায় যে কোনও কিছুই মানিয়ে যায়। তবে যদি এমন ব্লাউজ পরেন যাতে স্তন দেখতে ভরা লাগে তবে চেহারায় আসবে আত্মবিশ্বাস। তাই খেয়াল রাখুন যাতে ব্লাউজের সামনের অংশ প্যাডেড হয় বা ভারী এমব্রয়ডারি থাকে। গলার কাটও যেন সরু হয়। হল্টার নেক, হাইনেক বা কলার এই চেহারার জন্য খুব মানানসই।
স্লিম অ্যাথলেটিক চেহারা
এই পারফেক্ট বডি টাইপ নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। নুডল স্ট্র্যাপ, করসেট স্টাইল, হল্টার নেক, লম্বা হাত যে কোনও কিছুই আপনাকে মানাবে। শুধু শাড়ি বুঝে নিজের পছন্দ মতো ব্লাউজ বেছে নিন। মনে রাখবেন সব শাড়ির সঙ্গে কিন্তু সব রকম ব্লাউজ চলে না।
কাঁধ যখন চওড়া
এই ধরণের চেহারার মহিলারা প্রায়শই ব্লাউজ নিয়ে ধন্দে পড়েন। চওড়া নেকলাইনের সঙ্গে ছোট স্লিভের ব্লাউজ এই চেহারায় মানায়। সরু স্ট্র্যাপ, প্যাডেড ব্লাউজ একেবারেই এড়িয়ে চলুন। এতে কাঁধ আরও চওড়া লাগবে।
পৃথুলা
যদি পৃথুলা হন তাহলে ফুলহাতা বা থ্রি কোয়ার্টার হাতের ব্লাইজ পরলে চেহারায় রোগা ভাব আসবে। তবে খোলা পিঠের ব্লাইজ পরতেই পারেন। কিন্তু পাফড স্লিভ, নুডল স্ট্র্যাপ, হল্টার একেবারেই এড়িয়ে চলুন। কাপড়ের ব্যাপারেও ছোট প্রিন্টের হালকা ফ্যাব্রিক বেছে নিন।