আপনার প্রথম সন্তান আসতে চলেছে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রোজ মেপে নিচ্ছেন বেবি বাম্প। শুধু নিজের পেটে স্ট্রেচ মার্কস ভাবলেই কান্না পাচ্ছে। চিন্তা নেই। গর্ভাবস্থায় ও ডেলিভারির পরে কিছু নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই রোখা যাবে স্ট্রেচ মার্কস।
১। জিলেটিন- ত্বকের ইলাসটিসিটি বাড়ানোর জন্য কোলাজেন তৈরি হওয়া প্রয়োজন। প্রতি দিনের ডায়েটে জিলেটিন থাকলে সহজে কোলাজেন তৈরি হয় শরীরে। রোজ সকালে সরাসরি জিলেটিন পান করতে পারেন বা ঝোল, সুপ, সস জাতীয় খাবারে মিশিয়ে খেতে পারেন। চালের সঙ্গে সেদ্ধ করলেও সুন্দর আসবে ভাতে। ফ্রুট সালাড বা জেলো তৈরি করেও খেতে পারেন। ক্ষত সারাতে, ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে, হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে জিলেটিন। ঘুমও ভাল হয়।
২। জল- গর্ভাবস্থায় রোজ ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল অবশ্যই খাবেন। এতে ত্বকের ইলাসটিসিটি বজায় থাকবে, পেশির শিথিলতা বাড়বে।
৩। নারকেল তেল- পেটের ত্বক যত শুষ্ক হয়ে যাবে তত স্ট্রেচ মার্কস আসার সম্ভাবনা বাড়বে। নারকেল তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড সম্পৃক্ত অবস্থায় থাকে। এর ফলে ত্বকে আর্দ্রতা যেমন বজায় থাকে তেমনই ইনফেকশনও কম হয়।
৪। ভিটামিন সি- কোলাজেন ও তরুণাস্থির জন্য ভইটামিন সি খুব উপকারী। লেবু, পেয়ারা, পার্সলে পাকা, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি জাতীয় খাবার তাই বেশি করে খান।
৫। তেল মালিশ- অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল ও এসেনশিয়াল অয়েল এক সঙ্গে মিশিয়ে পেটে মালিশ করুন। রোজ করলে স্ট্রেচ মার্কস কোনওভাবেই আসবে না।
৬। জিঙ্ক- স্ট্রেচ মার্কস রোখার অন্য তম উপাদান অবশ্যই জিঙ্ক। খবু সহজেই জিঙ্ক কোলাজেন তৈরি করতে পারে। চিকেন, ডিম, বাদাম, গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক থাকে। গর্ভাবস্থায় এই জাতীয় খাবার বেশি করে খান।
৭। কোকো বাটার- কোকো বিনের ফ্যাট এক্সট্রাক্ট থেকে তৈরি হয় কোকো বাটার। এই কোকো বাটার ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক আর্দ্র থাকে, নরম থাকে। স্ট্রেচ মার্কস প়ড়ে না। গর্ভাবস্থায় রোজ কোকো বাটার ক্রিম মাসাজ করুন।