বছরের এই শেষ সপ্তাহে পার্টি, পিকনিক চলতেই থাকে। পার্টিতে বন্ধুদের সমাগম হলেও পিকনিকে বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই থাকেন। আর বিরিয়ানি তো সকলেরই প্রিয়। মেনুতে শুধু এই একটা পদ রান্না করলেই আর বেশি কিছু লাগে না। কিন্তু বিরিয়ানি খাবার হিসেবে যেমন ভারী, তেমনই রান্না করাও খরচ ও সময় সাপেক্ষ। তাই শিখে নিন হালকা, সহজ, সুস্বাদু কিমা বিরিয়ানির রেসিপি। বড় হান্ডিও প্রয়োজন নেই। রাইস কুকারেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই বিরিয়ানি।
কী কী লাগবে
মাটন কিমা: ২০০ গ্রাম
বাসমতী চাল: দেড় কাপ
তেল: ২ টেবল চামচ
দারচিনি: ১ ইঞ্চি স্টিক
বড় এলাচ: ১টা
ছোট এলাচ: ২টো
লবঙ্গ: ৫-৬টা
গোটা গোলমরিচ: ৮-১০টা
গোটা জিরে: ১ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি: ১টা বড় পেঁয়াজ
নুন: স্বাদ মতো
রসুন বাটা: ১ টেবল চামচ
আদা বাটা: ১ টেবল চামচ
টোম্যাটো কুচি: ২টো বড়
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা কুচি: ৩চটে
ধনেপাতা কুচি: ২ টেবল চামচ
পুদিনা পাতা: ১৫-২০টা
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ভাজা পেঁয়াজ: ১ কাপ
কেসর: কয়েকটা(১/৪ কাপ দুধে ভেজানো)
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল: ২ টেবল চামচ
কী ভাবে বানাবেন
ননস্টিক প্যানে তেল গরম করুন। অন্য একটা পাত্রে অনেকটা জল গরম করুন।
তেলে দারচিনি, বড় এলাচ, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ, জিরে দিয়ে সুগন্ধ বেরনো পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজ দিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে নিন। এর মধ্যে কিমা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে বাদামি হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। এ বার রসুন বাটা, আদা বাটা, টোম্যাটো কুচি, নুন দিন। এর মধ্যে কাঁচা লঙ্কা কুচি, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা, গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
অন্য পাত্রের জলে চাল ঝুরঝুরে করে সিদ্ধ করে ফ্যান ঝরিয়ে নিন।
এ বার রাইস কুকারে প্রথমে অর্ধেক পরিমাণ কিমা ছড়িয়ে দিন। তার ওপর অর্ধেক পরিমাণ চাল দিয়ে, ভাজা পেঁয়াজ, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা, গরম মশলা পাউডার, ও তেল দিন। এর ওপর বাকি অর্ধেক পরিমাণ কিমা, অর্ধেক চাল, বাকি ভাজা পেঁয়াজ, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা, গরম মশলা গুঁড়ো, দুধ, তেল দিয়ে রাইস কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে রান্না করুন বিরিয়ানি।
পছন্দের রায়তার সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম বিরিয়ানি।