আর মোটে কয়েকটা দিন। তার পরই বাজতে চলেছে আপনার বিয়ের সানাই। পার্লারে নিয়মিত ত্বক, চুলের চর্চা তো করছেন। পায়ের দিকে খেয়াল রেখেছেন কি? একে তো শীত শীত আবহাওয়ায় হলকা পা ফাটছে, তার ওপর দৌড়ঝাঁপের চোটে পায়ের অবস্থা হচ্ছে যাচ্ছেতাই। মাঝে মাঝে ব্যথাও হচ্ছে পায়ের পাতায়। মনে রাখবেন পা যদি সুন্দর না হয় তবে কিন্তু আপনাকে কোনওভাবেই ফ্যাশনেবল লাগবে না। জেনে নিন বিয়ের কনের এক মাসের ফুট কেয়ার রুটিন। রোজ মেনে চললে পা থাকবে সুন্দর। ব্যথাও কমে যাবে।
রুটিন শুরু করার আগে দু’টো বিষয়ে বলে রাখা ভাল-
১। পায়ের ত্বক যদি ট্যান হয়ে থাকে তাহলে এক টুকরো টমেটো দিয়ে পায়ে ঘষুন। কিছু ক্ষণ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। অথবা এক চা চামচ বেসন, এক চা চামচ দই, হলুদ গুঁড়ো, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও গোলাপ জলে গুলে প্যাক পায়ে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। টানা এক মাস এটা করলে ট্যান চলে যাবে।
২। যদি গোড়ালি শক্ত হয়ে কালো হয়ে যায় তাহলে অর্ধেক লেবুর টুকরোয় কয়েক দানা চিনি নিয়ে গোড়ালিতে ঘষতে থাকুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটাও টানা এক মাস করলে গোড়ালির চামড়া নরম হবে।
এ বার শুরু করুন রোজের রুটিন-
৩। প্রথমে নখ কেটে কোন থেকে নোংরা বের করে পরিষ্কার করে নিন।
৪। হালকা গরম জলে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে রোমকূপ বড় হয়ে ময়লা সহজে বেরিয়ে আসবে। মরা চামড়াও নরম হবে। জল থেকে পা তুলে নিয়ে হালকা স্ক্রাব দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
৫। নখের ওপর ক্রিম লাগিয়ে ফাইলার দিয়ে কিউটিকল তুলে দিন।
৬। যদি পায়ে ব্যথা থাকে তাহলে এর পর গরম জলে অল্প নুন ও এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে পা কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রখুন। এতে ব্যথা কমবে। জল থেকে পা তুলে শুকনো করে মুছে নিন। বিশেষ করে আঙুলের খাঁজ ভাল করে মুছে নিন। এখানে জল জমে থাকলে ত্বকের অসুখ হতে পারে।
৭। এ বার মাসাজ করার পালা। ভাল ফুট ক্রিম পায়ে লাগিয়ে নিন। বুড়ো আঙুলের হালকা চাপ দিতে দিতে পা আস্তে আস্তে মাসাজ করতে থাকুন। পায়ের তলার নার্ভে অ্যাকুপাংচার পয়েন্টে চাপ দিলে আরাম পাবেন। রিল্যাক্স লাগবে।
৮। যদি গোড়ালির কাছে শক্ত হয়ে থাকে তবে হাতের হালকা চাপে ক্লকওয়াইজ মোশনে মাসাজ করতে থাকুন।
৯। নখের উপর থেকে অতিরিক্ত ক্রিম তুলো দিয়ে মুছে নিন।
বিয়ের আগে প্রতি দিন রাতে শোওয়ার আগে মেনে চলুন এই রুটিন।