ছবি: অনির্বাণ সাহা।
দীপাবলিতে বাহারি আলো আর রঙে মেতে উঠেছে গোটা দেশ। আলোর উৎসবের হাত ধরেই হাজির হবে ভাইফোঁটা। কালীপুজো বা দীপাবলির পর ভাইফোঁটায় মেতে উঠবে বাঙালি। এ বারের ভাইফোঁটায় মেয়েরা কেমন ভাবে সাজবেন তার হদিস রইল আপনাদের জন্য। মেয়েরা এই বিশেষ দিনটিতে কেমন ভাবে নিজেদের সাজিয়ে তুলবেন, তা জানাচ্ছেন ডিজাইনার অমলিন দত্ত এবং অভিষেক দত্ত।
অমলিন দত্ত (ফ্যাশন ডিজাইনার)
কী ধরনের পোশাক পরবেন
এই দিনে ফ্লোরাল প্রিন্টের জ্যাকেট ভীষণ ভাল মানাবে। এর সঙ্গে সার্কুলার স্কার্ট কিংবা ঘেরওয়ালা পালাজো চলতে পারে। উৎসবের দিনে একটু ছিমছাম লুক দেবে এই ধরনের পোশাক।
কুর্তা জ্যাকেটের সঙ্গে প্রিন্টেড লেগিংস বা পেন্সিল প্যান্টও ভীষণ ভাবে ফ্যাশনে ইন। এই ধরনের ড্রেস ভীষণ ভাবেই ট্রেন্ডি।
ওম্বার শেডসের টোগা ড্রেসে আপনি সবার নজর কাড়তে বাধ্য। এই ধরনের পোশাকে আপনি হয়ে উঠবেন মোহময়ী।
কেপস ট্রাই করতে পারেন। দুর্গাপুজোতে একটু ছিমছাম সেজেছেন। দীপাবলি ও ভাইফোঁটায় একটু ইন্দো-ওয়েস্টার্ন লুক ট্রাই করতে পারেন। অ্যান্টিক এমব্রয়ডারি করা কেপস ভীষণ ভাবে ফ্যাশনে ইন। তার সঙ্গে বড় ঘেরের ট্রাউজার্স কিংবা স্কার্ট চলতে পারে।
যে কোনও উজ্জ্বল রঙের পোশাকই দীপাবলির সঙ্গে মানানসই। এরই সঙ্গে অ্যান্টিক জরির এমব্রয়ডারির কাজও খুব ভাল লাগবে।
তবে হ্যাঁ প্রতিটি পোশাকে যেন হাতের কাজের ঠাসবুনোট থাকে। হাতের কাজের গুরুত্বটাই এক্কেবারে অন্য রকম।
সঙ্গে এ বার অন্য রকম ফ্যাশন ট্রাই করলে দারুণ লাগবে। যেমন একটা ফ্লেয়ারি জাম্পসুটের সঙ্গে শেরওয়ানি ধরনের লং জ্যাকেট। যেটা হাই নেক হবে এবং সামনের দিক খোলা থাকবে। এটা একটা ইন্দো ওয়েস্টার্ন লুক দেবে। এ ছাড়া, পালাজোর সঙ্গে লং কুর্তি পরলে ভাল লাগবে। বিভিন্ন ধরনের লং স্কার্টের সঙ্গে ক্রপ টপও ফ্যাশনে ইন। সঙ্গে নিয়ে নেবেন একটা দোপাট্টা। কিন্তু দোপাট্টা খুব একটা বড় না হলেই ভাল। কারণ বেশি বড় ওড়না হলে অনেক সময় সামলাতে সমস্যা হয়। এটি এক সঙ্গে ট্রাডিশনাল ও ওয়েস্টার্ন লুক দেয়।
অভিষেক দত্ত (ফ্যাশন ডিজাইনার)
এই বিশেষ অনুষ্ঠানের সময় ট্রাডিশনাল পোশাক পরলেই সব চাইতে বেশি মানাবে। বছরের অন্যান্য দিনগুলোয় অফিসের চাপে তো সে ভাবে ট্রাডিশনাল পোশাক পরার ফুরসতটুকুও পাওয়া যায় না। তাই এ সময়টায় নিজেকে একটু ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সাজিয়ে তুললে দিব্যি লাগবে। তবে ট্রাডিশনাল পোশাকের সঙ্গে অবশ্যই থাকুক একটু আলাদা ছোঁয়া। থাকুক আধুনিকতার মিশেল।
পোশাক প্ল্যানিং
এই দিনটিতে এথনিক পরলেই ভাল দেখাবে। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে একটু ছিমছাম সাজাই যেতে পারে। তবে দিওয়ালি ফ্লেভারটাও তো পোশাকে থাকতে হবে নাকি! তাই দুটো দিকই যাতে ঠিক ভাবে সামাল দেওয়া যায় সে দিকে লক্ষ রাখুন। মেয়েদের অল টাইম ফেভারিট শাড়ি ফার্স্ট চয়েজ হতেই পারে। হ্যান্ডলুম, লিনেন, কিংবা মখমল শাড়ি বেছে নিন। উজ্জ্বল রঙের শাড়ি পরুন।
অনেকেই আবার শাড়িতে সে ভাবে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা কিন্তু হালফিলের ট্রেন্ডি এথনিক পোশাক পরতেই পারেন। ড্রিপিং স্টাইল কুর্তা ফ্যাশনে ইন। কুর্তার সঙ্গে বেশ খানিকটা ঘেরওয়ালা পালাজো ট্রাই করতে পারেন।
আবার কুর্তার সঙ্গে ঘেরওয়ালা স্কার্টও পরা যেতে পারে অনায়াসেই।
রংয়ের রুট
• ট্যাঞ্জারিন অরেঞ্জ • হালকা বেগুনি
• এঞ্জেল ব্লু • ইয়েলো
• লাইট ফিরোজা
মডেল: পাওলি দাম, রিয়া দত্ত, রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমরাথ রায়, দেবারুণ স্বরাজ।
মেয়েদের পোশাক: অমলিন দত্ত ও অভিষেক দত্ত।
ছেলেদের পোশাক: শর্বরী’জ স্টুডিও।
মেকআপ: দেবাঞ্জন চক্রবর্তী।
কেশসজ্জা: সুরজিৎ দাশগুপ্ত।