কাজু কারখানা গড়লে পরিবেশ দূষণ হবে। তাই কারখানা গড়ে তোলার প্রতিবাদে সামিল হলেন রামনগর ২ ব্লকের মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের যে সরকারি খাস জমিতে কাজু কারখানা গড়ে উঠবে বলে ঠিক হয়েছে, তার পাশেই রয়েছে মৈতনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি বালিকা বিদ্যালয় ও একটি বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাই ওই জমিতে কাজু কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয় এলাকায় পরিবেশ দূষণ ঘটবে। তৃণমূল পরিচালিত মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তমালতরু দাসমহাপাত্র জানান, ওই কারখানা না করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জরুরি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মৈতনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশের ওই নির্ধারিত জায়গায় একটি আইটিআই কলেজ-সহ শস্য ভাণ্ডার ও হিমঘর গড়ে তোলার জন্য সবর্সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের জে এল নম্বর ১৫০-এর ৩ নম্বর দাগে বেশ কয়েক একর খাস জমি রয়েছে। ওই জমিতে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু রয়েছে। বাকি জমি খালি পড়ে থাকলেও তার পাশে একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও একটি বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল বামেরা। অভিযোগ, সেই সময় সিপিএম পরিচালিত মৈতনা পঞ্চায়েতের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজু শিল্পের সঙ্গে যুক্ত একটি সমবায় সংস্থা ওই এলাকায় কাজু কারখানা গড়তে উদ্যোগী হয়। সম্প্রতি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে এক প্রতিনিধি দল কাজু কারখানার জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করে যান। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। গ্রামবাসী ও পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ওই জায়গায় কাজু কারখানা গড়ে উঠলে কাজু কারখানার ধোঁয়া থেকে এলাকায় দৃষণ সৃষ্টি হবে। ফলে পাশ্ববর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগী, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা সমস্যায় পড়বেন।