বিশ্বের কোথায় বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ, কোন অংশের মানুষ বেশি অবসাদে ভোগেন, কোথায়ই বা ছড়াচ্ছে মারণ ব্যাধি— শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে যাবতীয় তথ্য জানা যাবে টুইটার থেকেই। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার গবেষকেরা। তাঁদের কথায়, বিভিন্ন ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, নিজেদের মতামত এবং আবেগ প্রকাশ ছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয়ে টুইটার হ্যান্ডেলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়। তার থেকেই জানা যাচ্ছে, কোথায় কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে এবং সেই বিষয়ে ইউজারদের মতামতই বা কী।
আরও পড়ুন: নিউজ ফিডে বদল আনল ফেসবুক
আমেরিকার ‘প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবোরেটরি (পিএনএনএল)’-র গবেষক শ্বেতলানা ভলভোকার কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত মতামত এবং আবেগ প্রকাশ তো টুইটারে হয়েই থাকে। এ সবের বাইরেও লোকজন এখন শরীর স্বাস্থ্য নিয়েও আলোচনা শুরু করেছেন।’’ ‘ইপিজে ডেটা সায়েন্স’ নামক একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় তিনি জানিয়েছেন, টুইটারের বিভিন্ন কমিউনিটিতে ‘হেল্থ ট্রেন্ড’ এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমনকী দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্য বিষয়ে চর্চার সময় মানুষের কথাবার্তার ধরণেও অনেক পরিবর্তন আসছে।
আরও পড়ুন: ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড স্টোরেজকে হার মানাবে ম্যাগনেটিক টেপ!
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছে পিএনএনএল। অসুস্থ হলে মানুষ সোশ্যাল সাইটগুলিতে কী ভাবে ব্যবহার করেন, কী ধরনের পোস্ট করা হয়, এটাই ছিল সমীক্ষার বিষয়। আমেরিকার ২৫টি জায়গা এবং বিশ্বের অন্য ৬টি জায়গার টুইটার ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালান পিএনএনএল-এর একদল গবেষক। প্রায় ১৭ কোটি টুইট পরীক্ষা করে দেখা হয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ওই জাতীয় কোনও রোগে আক্রান্ত হলে কত জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যান। কী ধরণের মতামত প্রকাশ পায়, খতিয়ে দেখা হয় তাও। দেখা গিয়েছে, রোগের প্রকোপ বাড়লে অনেক বেশি নিরপেক্ষ মতামত দেন ইউজারেরা। দুঃখ প্রকাশও করেন কোনও কোনও ইউজার। আবার অসুস্থতা যদি কম হয়, তা হলে অনেক বেশি ইতিবাচক মতামত দেওয়া হয়। রাগ এবং বিস্ময়ও প্রকাশ পায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে।