পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আবার দেখা যাবে দেড় বছর পর। ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে ঘোষণা করেছে নাসা। তিন বছর পর আবার এই বিরল মহাজাগতিক মুহূর্তের সাক্ষী হবে পৃথিবী। যেখানে সূর্য, চাঁদ আর পৃথিবী আসবে একই সরলরেখায়। সূর্যের আলোকে আড়াল করে চাঁদ আর সূর্যের মাঝে চলে আসবে পৃথিবী। ফলে পৃথিবীর ছায়া, যার আরেক নাম ‘আম্ব্রা’ তা পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদকে। গ্রহণ লাগবে চাঁদে। মঙ্গলবারই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের এই বিরল ঘটনা দেখা যাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। তবে ভারতে থেকে এই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে।
টকটকে লাল চাঁদ। ছবি: সংগৃহীত
নাসা জানিয়েছে, এই চন্দ্রগ্রহণ না দেখলে আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার সুযোগ হবে দেড় বছর পর। ২০২৫ সালের মার্চ মাসেই আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে। কিন্তু মঙ্গলবার যখন চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে এবং তা পূর্ণ অবস্থায় পৌঁছবে, তখন ভারতের আকাশে উঠবেই না চাঁদ। মঙ্গলবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ চন্দ্রোদয় হওয়ার কথা দেশে। তখন চাঁদের গ্রহণ সম্পূর্ণ হয়ে তা ছেড়েও যাবে।
আন্তর্জাতিক সময় (জিএমটি) সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে শুরু হবে চন্দ্রগ্রহণ। ৮৫ মিনিট থেকে তা আবার ছেড়ে যাবে ১০টা ৪২ মিনিটে। সেই হিসাবে ভারতীয় সময়ে দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে গ্রহণ শুরু হয়ে পূর্ণচন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে বিকেল পৌনে ৪টে থেকে। সাড়ে চারটের সময় তা পূর্ণ অবস্থায় পৌঁছবে। এবং আবার ছেড়ে যাবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। ফলে চন্দ্রগ্রহণ যখন ছেড়ে যাবে, তখন চাঁদই উঠবে না ভারতে। তবে যে সমস্ত দেশে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে তাঁরা টকটকে লাল রঙের চাঁদ দেখতে পাবেন আকাশে।
কেন গ্রহণ লাগা চাঁদের রং লাল হয় তার ব্যাখ্যা দিয়ে নাসা জানিয়েছে, প্রথমত পৃথিবীর ছায়া আমব্রা চাঁদের ওই অদ্ভুত রঙ তৈরি করে। নাসা আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, যে কারণে আমরা সকালে নীল রঙের আকাশ দেখি এবং সূর্যাস্তের সময় লাল আকাশ দেখি সেই একই ভাবে চাঁদের রংও লাল দেখায়। নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর আবহাওয়া মণ্ডলে থাকা ধুলিকণায় প্রতিফলিত হয়েই ওই রঙ চোখে পড়ে পৃথিবীবাসীর।