স্বাভাবিক নিয়মে নয়, বিবর্তনের গতিধারা মেনেও নয়, একেবারেই কৃত্রিমভাবে, মানুষের হাতে, মানুষের খেয়ালে পরীক্ষাগারে জন্ম হয়েছে এই সমস্ত পশুর। কখনও বাঘের সঙ্গে সিংহ, কখনও বা জেব্রার সঙ্গে গাধার কৃত্রিম ভাবে মিলন ঘটানো হয়েছে। ফলে তৈরি হয়েছে ‘অদ্ভুত’ দর্শন কিছু সংকর প্রজাতির। গ্যালারি থেকে দেখে নেওয়া যাক তাদের।
লাইগার: পুরুষ সিংহ এবং স্ত্রী বাঘের মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছিল লাইগার। ২০১২ সালে রাশিয়ার একটি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রথম লাইগারের ছবি প্রকাশ্যে আনে। সেই লাইগারটির নাম ছিল কিয়ারা।
টাইগন: টাইগনের মা সিংহ, কিন্তু বাবা বাঘ। স্পট এবং স্ট্রাইপ দু’টিই রয়েছে টাইগনের দেহে। তবে লাইগারের থেকে আকারে ছোট এরা।
জঙ্কি: জেব্রার সঙ্গে ডাঙ্কি অর্থাত্ গাধার ডিএনএ মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল জঙ্কি। জঙ্কিকে অনেকে জেব্রয়েড বা জেডঙ্কস নামেও ডাকেন। অনেক সময় এদের মধ্যে বামনত্ব রোগ দেখা যায়। বেশিরভাগ সময়ই এরা বন্ধ্যা হয়।
জাগলিয়ন: পুরুষ জাগুয়ার ও স্ত্রী সিংহের সংকর প্রজাতি এই জাগলিয়ন। আমেরিকার ট্রিঞ্জ-এর জাতীয় জাদুঘরে জাগলিয়নের একটি দেহ সংরক্ষণ করা রয়েছে।
লিওপন: পুরুষ লেপার্ড এবং স্ত্রী সিংহের মিশ্রণে তৈরি এই লিওপন। এর মাথাটা সিংহের মতো কেশর যুক্ত। কিন্তু সারা শরীরে লেপার্ডের মতো কালো ছোপ ছোপ। বিংশ শতকে ভারতেই প্রথম তৈরি হয়েছিল এই লিওপন।
গ্রোলার বিয়ার: অনেকে একে পিজলি বিয়ারও বলে। পুরুষ গ্রিজলি বিয়ার এবং স্ত্রী পোলার বিয়ারের সংকর এটি।
সাভানা ক্যাট: ডমেস্টিক ক্যাট এবং বন বেড়ালের মিশ্রণ এটি। আকারে অস্বাভাবিক লম্বা হয় এই প্রজাতির বিড়াল। স্বভাবে অনেকটা কুকুরের মতো। মনিবের বাধ্য হয় এরা। জলে ভয় পায় না সাভানা ক্যাট। বরং স্নান করতে ভালইবাসে এরা।
হোলফিন: হোয়েল এবং ডলফিনের সংকর প্রজাতি এই হোলফিন। ১৯৮৬তে প্রথম কেকাইমালু নামের এই হোলফিন তৈরি করা হয়েছিল। কেকাইমালু পরে একটি সন্তানেরও জন্ম দেয়। সেই সন্তানের মধ্যে তিমির স্বভাব ছিল ২৫ শতাংশ ও ডলফিনের স্বভাব ছিল ৭৫ শতাংশ।
বিফালো: বাফেলো এবং কাউ-এর মিশ্রণে তৈরি হয়েছিল বিফালো। ১৯৭০-এ প্রথম এই ব্রিড তৈরি করা হয়েছিল। এরা দেখতে অনেক বড়সড় এবং পেশীবহুল হয়।