Supermassive Black Hole

পৃথিবীর দিকে ‘তাকিয়ে’ বিশাল ব্ল্যাকহোল, পাঠাচ্ছে বিকিরণও! প্রভাব বুঝতে হিমশিম বিজ্ঞানীরা

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল একটি নক্ষত্রমণ্ডলকে নিয়ে পুনরায় চর্চা শুরু করেছে। এই নক্ষত্রমণ্ডলের কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিশাল ব্ল্যাকহোল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৪
Share:

পিবিসি জে২৩৩৩.৯-২৩৪৩ নামের এই নক্ষত্রমণ্ডলটি পৃথিবী থেকে ৬৫৭০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

পৃথিবীর দিকে হাঁ করে রয়েছে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকা এই কৃষ্ণগহ্বর নাকি শক্তিশালী বিকিরণও পাঠাচ্ছে আমাদের গ্রহের দিকে। এমনটাই দাবি, কয়েক জন মহাকাশবিজ্ঞানীর। যদিও এই ব্ল্যাকহোল কী ভাবে আমাদের নক্ষত্রমণ্ডলকে প্রভাবিত করবে তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশবিজ্ঞানীদের একটি দল একটি নক্ষত্রমণ্ডলকে নিয়ে পুনরায় চর্চা শুরু করেছে। এই নক্ষত্রমণ্ডলের কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল এই ব্ল্যাকহোল। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ব্ল্যাকহোলটি নিজের দিক পরিবর্তন করেছে এবং বর্তমানে এটির মুখ রয়েছে সরাসরি পৃথিবীর দিকে। পিবিসি জে২৩৩৩.৯-২৩৪৩ নামের এই নক্ষত্রমণ্ডলটি পৃথিবী থেকে ৬৫৭০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।

মহাকাশবিজ্ঞানী লরেনা হার্নান্দেজ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা এই নক্ষত্রমণ্ডলের উপর নজরদারি শুরু করেছি। এই নক্ষত্রমণ্ডল নিজের চরিত্র বদলানোর কারণেই এই নজরদারি। আমাদের মোটামুটি অনুমান ছিল যে, এই নক্ষত্রমণ্ডলের কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল দিক পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এর মুখ পৃথিবীর দিকে রয়েছে। এবং এটি পৃথিবীর দিকে ক্রমাগত বিকিরণ পাঠিয়ে চলেছে।’’

Advertisement

একটি গবেষণায়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নক্ষত্রমণ্ডলের এই চরিত্র বদলানো নিয়ে মত পোষণ করেছেন। যদিও তাঁরা নিশ্চিত নন যে, ঠিক কী কারণে এমনটা হয়েছে। বেশির ভাগ বিজ্ঞানীর মতে পিবিসি জে২৩৩৩.৯-২৩৪৩ নামের এই নক্ষত্রমণ্ডলটির সঙ্গে অন্য এক নক্ষত্রমণ্ডলের সংঘর্ষের কারণেই এমনটা ঘটেছে।

যদিও কৃষ্ণগহ্বরের দিক পরিবর্তন পৃথিবী বা এই নক্ষত্রমণ্ডলের উপর কী প্রভাব ফেলতে পারে তা এখনও স্পষ্ট করতে বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement