Astronauts

Cosmonauts’ Brain: দীর্ঘ মহাকাশযাত্রায় নভশ্চরদের মস্তিষ্ক বদলে যায় আকারে, কাজকর্মে, জানাল গবেষণা

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাঁরা নানা ধরনের স্নায়বিক রোগের শিকার হন। যা আমৃত্যু থেকে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪২
Share:

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাঁরা নানা ধরনের স্নায়বিক রোগের শিকার হন। যা আমৃত্যু থেকে যায়। -ফাইল ছবি।

মহাকাশে অনেক দিন কাটালে নভশ্চরদের মস্তিষ্ক আর আগের মতো থাকে না। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের আকার ও তাদের কাজকর্মও বদলে যায়। যা পৃথিবীতে ফিরে আসার অনেক পরেও আর আগের অবস্থায় ফিরে যায় না। ফলে, পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাঁরা নানা ধরনের স্নায়বিক রোগের শিকার হন। যা আমৃত্যু থেকে যায়।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস-এর বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ কথা জানিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউরাল সার্কিটস’-এ।

আগের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন মহাকাশে কাটিয়ে ফিরে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর মহাকাশচারীদের মাংসপেশি ও হাড়ে নানা ধরনের সমস্যা হয়েছে। পেশি ও হাড়ের ক্ষয় হয়েছে দ্রুত হারে। সেই ক্ষয় রোখা যায়নি। তাকে আগের অবস্থায় ফেরানোও সম্ভব হয়নি।

এ বারের গবেষণা জানাল, দীর্ঘ দিনের মহাকাশযাত্রায় বদলে যায় মহাকাশচারীদের মস্তিষ্কের আকার ও কাজকর্মও। ফলে, পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাঁরা নানা ধরনের স্নায়বিক রোগের শিকার হন। যা আমৃত্যু থেকে যায়।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, আগামী দিনে যখন চাঁদে ও মঙ্গলে গিয়ে নভশ্চরদের অনেক বেশি দিন থাকতে হবে তখন তাঁদের মস্তিষ্ক কী ভাবে বদলে যেতে পারে এই গবেষণার ফলাফলে তার কিছুটা ইঙ্গিত মিলল। ফলে, আগামী দিনে চাঁদে ও মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠানোর আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায় কী কী ভাবে এ বার তা নিয়ে আরও গবেষণার পথ খুলল।

Advertisement

গবেষকরা দেখেছেন, দীর্ঘ মহাকাশযাত্রায় নভশ্চরদের মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটার অংশের আকার ও কাজকর্ম বেশি বদলে যায় অন্য অংশগুলির তুলনায়। এই হোয়াইট ম্যাটার অংশটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ও গ্রে ম্যাটার অংশের সঙ্গে যোগাযোগের পথ হিসাবে ব্যবহৃত হয় মানবমস্তিষ্কে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement