চলছে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা। -ফাইল ছবি।
কোভিড রোগীদের জন্য চিকিৎসকদের হাতে নতুন আরও ১৬০টি ওষুধ তুলে দিলেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী, গবেষকরা। সেই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়া ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের দু’টি ওষুধও। শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে নয়, রোগীদের উপর পরীক্ষা করেই ওষুধগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ।
গবেষণাপত্রটি জানিয়েছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণে মানবশরীরের কোন কোন প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে, তার একটি তালিকা তৈরি করতে যৌথ ভাবে কম্পিউটেশনাল বায়োলজি ও মেশিন লার্নিং পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছিলেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনার থেরাপিউটিক্স ইনস্টিটিউট এবং গর্ডন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। এই প্রোটিনগুলির কোনও কোনওটি ভাইরাসকে কোষে ঢুকতে সাহায্য করে, কোনওটি সাহায্য করে মানবকোষে ঢোকার পর ভাইরাসের দ্রুত বংশবৃদ্ধিতে। সংক্রমণের পর মানবশরীরে যে জটিলতাগুলির সৃষ্টি হয়, কোনও কোনও প্রোটিন তারও সহায়ক হয়। তার পর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’)-র সাহায্যে বিজ্ঞানীরা দেখে নেন কোন কোন প্রোটিনগুলিকে ওষুধ দিয়ে বেঁধে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যেতে পারে। তাঁরা এ-ও দেখেন, বাজারে চালু কোন কোন ওষুধ দিয়ে সেই কাজটা করা সম্ভব।
পরে কোভিড রোগীদের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় কাজে লাগানো যেতে পারে কি না বুঝতে বাজারে চালু ৪০টি ওষুধ নিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
শিশুদের শরীরে কোভোভ্যাক্সের ট্রায়ালে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের, বড় ধাক্কা খেল সিরাম
আরও পড়ুন
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মাত্র ৯০ লক্ষ, জুলাইতেও রাজ্যে টিকার আকাল থাকার আশঙ্কা প্রবল
কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনার থেরাপিউটিক্স ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা অধ্যাপক টোনি কোউজারিডেস বলেছেন, “এই গবেষণা কোভিড চিকিৎসকদের হাতে নতুন নতুন অস্ত্র তুলে দিল। নতুন ওষুধ আবিষ্কারের জন্য আর অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না তাঁদের। বিশেষ করে দেখা গিয়েছে, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ওষুধ সালফাস্যালাজাইন এবং ম্যালেরিয়ার ওষুধ প্রোগুয়ানিল মানবকোষ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের দ্রুত বংশবৃদ্ধি রুখতে খুব কার্যকরী হচ্ছে। এটা মানবদেহে কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠা রোখার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল।”