ভারত এ বার নিজেদের ‘গগনযান’-এ মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে।
রাকেশ শর্মা গিয়েছিলেন ১৯৮৪ সালে। তিনিই প্রথম ও একমাত্র ভারতীয় নাগরিক যিনি মহাকাশে ঘুরে এসেছেন। রাকেশ গিয়েছিলেন রুশ যান ‘সয়ুজ টি-১১’-তে চেপে। ভারত এ বার নিজেদের ‘গগনযান’-এ মানুষ পাঠাতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
ঘোষণা মোতাবেক, ২০২২-এ হওয়ার কথা সেই অভিযান। তার আগে আরও এক বার মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ এল রাশিয়ার হাত ধরে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘গগনযান’ প্রকল্পকে সফল করতে পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া।
সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী বৃহস্পতিবার ভারতে আসছেন। তিনি আসার আগেই মস্কো কূটনৈতিক চ্যানেলে প্রস্তাব দিয়েছে, ভারতীয় নভশ্চরদের মহাকাশে যাওয়ার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে তারা প্রস্তুত। মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্লাসরুমে নয়, এই প্রশিক্ষণ হবে একেবারেই হাতে কলমে। রুশ মহাকাশযানে এক বা একাধিক ভারতীয় নভশ্চরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এর ‘রাশিয়ান অরবিট সেগমেন্ট’-এ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে নিজস্ব ‘গগনযান’-এ ব্যোমযাত্রার চাপ সামলানোর আগে অনেকটাই তৈরি হয়ে নিতে পারবেন ভারতীয়েরা। মস্কো জানিয়েছে, তাদের মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’ এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ক্যানসারে ‘ব্রেক’ কষে নোবেল জেমস অ্যালিসন এবং তাসুকু হঞ্জোর
ইসরোর কর্তাদের মতে, এটি একটা বড় সুযোগ। তবে ভারত এখনও প্রস্তাবের জবাব দেয়নি। বিদেশমন্ত্রকের এক সূত্রের বক্তব্য, ‘‘কেমন কী খরচ পড়বে তা দেখে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে রাশিয়া পুরনো বন্ধু। আশা করা যায় দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’’ কূটনৈতিক সূত্রের খবর, শুক্রবার মোদী-পুতিন শীর্ষ বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
গোটা বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছে ভারত। বিশেষ করে দিল্লি-মস্কো সুদীর্ঘ সম্পর্কের মধ্যে যখন ঢুকে পড়েছে ইসলামাবাদ এবং বেজিংও। রাশিয়ার উপরে শ্যেন দৃষ্টি রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন। চাইছে অস্ত্রবাণিজ্যে ও গোটা বিশ্বের ভূকৌশলগত রাজনীতিতে তাদের একঘরে করতে। এমনকি রাশিয়ার থেকে দামি অস্ত্র কেনার প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে আমেরিকা। এই অবস্থায় মহাকাশ প্রশিক্ষণের বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে তা নতুন উচ্চতা দেবে বলে মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক।