কোভিড টিকার নয়া পদ্ধতির উদ্ভাবন। -ফাইল ছবি।
রক্তের লোহিত কণিকা (আরবিসি)-গুলিকে এমন ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যে সেগুলিই মানবদেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থার কোষগুলিকে চিনিয়ে দেবে কে শত্রু। যাতে ভাইরাসের মোকাবিলায় দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হতে সময় না লাগে। শত্রু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থার রক্ষণ অনেক বেশি জমাট, শক্তপোক্ত থাকে। আর তা থাকে যাতে অনেক বেশি সময় ধরে।
কোভিড টিকার এমন সম্পূর্ণ নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন আমেরিকার অন্টারিওয় ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী, গবেষকরা। তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘প্লস ওয়ান’-এ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে শুধু কোভিডই নয়, অন্য অনেক টিকা তৈরির প্রকৌশলেরই মানোন্নয়ন ঘটাতে পারে আগামী দিনে।
গবেষকরা রক্তের লোহিত কণিকাকে গবেষণাগারে বিশেষ রূপ দিয়েছেন। সেই কণিকার বাইরের দেওয়ালে সাজিয়ে দিয়েছেন সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনগুলিকে। মানবশরীরে ঢোকার পর যা দিয়ে মানবকোষের উপর নোঙর ফেলে ভাইরাস। ইঁদুরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, বাইরের স্তরে স্পাইক প্রোটিন লাগানো লোহিত কণিকাগুলি দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থার কোষে পৌঁছে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। তবে সেই স্পাইক প্রোটিনগুলি মানবকোষের কোনও ক্ষতি করে না।
কোনও কোনও কোভিড টিকায় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে দেখা গিয়েছে। গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতিতে টিকা বানানো হলে তার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা খুব কমই থাকবে।