'আপডেট ফর স্যামসাং' অ্যাপটির সঙ্গে স্যামসাং সংস্থা যুক্ত নয়। ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক।
আপনি কি স্যামসাং-এর মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন?
এমনিতে অ্যান্ড্রয়েড আপডেট করার জন্য আলাদা ভাবে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়ে না। মোবাইলের ওএস-অ্যান্ড্রয়েড আপডেট করার হলে স্যামসাং সংস্থা থেকেই নোটিফিকেশন ফোনে ঢোকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, যদি কোনও ইউজারের কাছে নোটিফিকেশন না আসে তাহলে অনেকেই গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড আপডেট করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করেন। যেগুলি স্যামসাং-এর অ্যান্ড্রয়েড ও সফট্ওয়্যার আপডেট করতে পারবে বলে দাবি রাখে।
সে রকমই কিছুদিন আগে স্যামসাং ব্যবহারকারীরা নিজেদের মোবাইল ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করার জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘আপডেট ফর স্যামসাং’ অ্যাপটি ডাউনলোড করেছিলেন। অনলাইন-লিস্টিং সমীক্ষা করে জানিয়েছে যে এক কোটির উপর ইউজার এই অ্যাপটি ইনস্টল করেছে।
এটি একটি ভুয়ো অ্যাপ ছিল। এই অ্যাপ বিনামূল্যে অনেকেই মোবাইল ফোনে ইনস্টল করতে পেরেছিলেন। কিন্তু অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর অনেকেই রিপোর্ট করেন যে এই অ্যাপটি একদমই কার্যকরী নয়। অযথা প্রচুর বিজ্ঞাপন দেওয়া রয়েছে এই অ্যাপে।
আরও পড়ুন: এই অ্যাপটি ব্যবহার করলেই লুট হতে পারে আপনার অনলাইন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
একজন ইউজার নির্দিষ্ট কোনও ফার্মওয়্যার আপডেট করার জন্য অ্যাপে ‘ডাউনলোড ফার্মওয়্যার’ অপশনে সার্চ করে দেখতে পারেন। কিন্তু স্যামসাং ফার্মওয়্যার আপডেট করতে গেলে তাঁকে বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। তাঁর জন্য প্রতিবছর তাঁকে কিছু টাকাও দিতে হবে। মজার বিষয় গুগল প্লে থেকে এই সাবস্ক্রিপশন করা যায় না। ইউজারকে সরাসরি তার ক্রেডিট কার্ডের নম্বর দিয়ে পেমেন্ট করতে হবে।
উল্লেখ্য এই অ্যাপের সঙ্গে স্যামসাং কোনও ভাবে সংশ্লিষ্ট নয়। এই অ্যাপ এবং স্যামসাং-এর মধ্যে কোনও অফিশিয়াল চুক্তিও ছিল না।
সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম সিএসআইএস গ্রুপের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ধরনের ভুয়ো অ্যাপ থেকে অ্যান্ড্রয়েড আপডেট করার জন্য সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়, যা গুগল প্লে থেকে করা যায় না।
ইউজারের নিরাপত্তার কথা ভেবে সম্প্রতি এই অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। যারা অ্যাপটি ইনস্টল করেছিলেন তাদেরও আনইনস্টল করা জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র স্যামসাং ইউজার নয়, যে কোনও অ্যাপ নামানোর আগে তা ভাল করে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, এর থেকে ভবিষ্যতে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চেয়ারম্যান-সহ জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনে এই প্রথম তিন বাঙালি