ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কি না জানতে এখন যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় তার চেয়ে ১০০ গুণ কার্যকরী পরীক্ষা পদ্ধতি উদ্ভাবন করলেন বিজ্ঞানীরা। যা গণহারে করা যাবে। অনেক কম সময়ে। এই পরীক্ষা পদ্ধতির নাম ‘ল্যাম্প-সেক’। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার বায়োটেকনোলজি’-তে। উদ্ভাবনের কৃতিত্ব ইউনিভার্সিটি হসপিটাল বন (ইউকেবি)-এর বিজ্ঞানীদের।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই অভিনব পদ্ধতিতে একই সঙ্গে বহু মানুষের সোয়াব পরীক্ষা খুব দ্রুত গতিতে করা সম্ভব হবে। আর সেই পরীক্ষা হবে বাজারে চালু র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা পদ্ধতির চেয়ে ১০০ গুণ কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার সুফল বেশি পাবে স্কুল, অফিস এবং ডে-কেয়ার সেন্টারগুলি। এ-ও জানিয়েছেন, গণহারে টিকাকরণের পাশাপাশি গণহারে করোনা পরীক্ষা না হলে কোভিড কতটা নিয়ন্ত্রণে আসছে তা বোঝার উপায় থাকবে না বিজ্ঞানী, গবেষকদের হাতে।
গবেষকদের বক্তব্য, এই পরীক্ষা পদ্ধতি শুধু যে সংক্রমণকে একেবারে গোড়ার পর্বে ধরতে পারবে তা নয়; কোনও এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শৃঙ্খলটিকেও আরও দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন
কার্যকারিতা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মর্ডানা টিকা নিয়ে আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর
আরও পড়ুন
এখনও দ্বিতীয় টিকা পাননি রাজ্যে ৮.৫ লক্ষ, তাঁদের জন্য ৫০% বরাদ্দের নির্দেশ
ইউকেবি-র ইনস্টিটিউট অব ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি-র অধ্যাপক জোনাথন স্মিড-বার্গ বলেছেন, “মাপার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিজেন পরিমাণে ১০০ ভাগ কম থাকলেও এই পদ্ধতিতে তা নিখুঁত ভাবে ধরা পড়বে। যা বাজারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের পক্ষে সম্ভব নয়। এই পরীক্ষা হবে কিউ-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলের মতোই নিখুঁত। এতে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সব রূপই ধরা পড়বে।”
এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় করোনাভাইরাসের গোটা জিনোমের উপর নজর রাখা হয়। তার ফলে, একই সঙ্গে বহু মানুষের সংক্রমণ পরীক্ষা করা যায়।