চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। —ফাইল চিত্র।
চাঁদের মাটিতে ‘ঘুমোচ্ছে’ ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩। ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে তারা নিষ্ক্রিয়। সেই নিষ্ক্রিয় বিক্রমকে হঠাৎ ডাক দিল নাসার মহাকাশযান। লেজার রশ্মি পাঠানো হল বিক্রমের কাছে। মিলল ‘সাড়া’ও!
নাসার লুনার রেকনাইস্যান্স অরবিটর বা এলআরও গত ১২ ডিসেম্বর চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। নাসা জানিয়েছে, এলআরও তার লেজার রশ্মির যন্ত্রটিকে বিক্রমের দিকে তাক করে। রশ্মি পাঠানো হয় বিক্রমকে উদ্দেশ করে। বিক্রম এবং নাসার মহাকাশযানের দূরত্ব ছিল অন্তত ১০০ কিলোমিটার।
বিক্রমের মধ্যে আগে থেকেই নাসার তৈরি রেট্রোরিফ্লেক্টর নামের একটি যন্ত্র বসানো ছিল। তাতে প্রতিফলিত হয়ে লেজার রশ্মি ফিরে যায় এলআরও-তে। এ ভাবে নাসার কাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা সফল হয়েছে। বিক্রমের সঠিক অবস্থানও নির্ণয় করা গিয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, মহাকাশে কোনও বস্তুর দিকে লেজার রশ্মি পাঠিয়ে তার অবস্থান নির্ণয় করার কৌশল নতুন নয়। আলো গন্তব্যে পৌঁছতে কত সময় নিচ্ছে, তার মাধ্যমে দূরত্বের হিসাব করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে উল্টো পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। মহাকাশে চলন্ত কোনও বস্তু থেকে স্থির বস্তুর উদ্দেশে লেজার রশ্মি পাঠিয়ে ওই স্থির বস্তুটির অবস্থান নির্ণয় করা হয়েছে।
আগামী দিনে মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষায় কাজে লাগবে ভেবেই ইসরোর ল্যান্ডারে যন্ত্র বসিয়ে দিয়েছিল নাসা। বিক্রমের মাধ্যমে তারা তাদের রেট্রোরিফ্লেক্টরটি পরীক্ষা করে নিল।
গত ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। এক চন্দ্রদিবস ধরে সেখানে ঘুরে ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনও দেশ মহাকাশযান নামাতে পারেনি।