কে২-১৮ বি গ্রহ। ছবি: সংগৃহীত।
পৃথিবী থেকে প্রায় ১২০ আলোকবর্ষ দূরে কে২-১৮ বি গ্রহে মহাসাগর ও হাইড্রোজেন ভর্তি বায়ুমণ্ডল থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে গবেষণায় এ কথা জানা গিয়েছে। কারণ ওই গ্রহে মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো কার্বন-সহ কণার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ফলে সেই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীর চেয়ে ৮.৬ গুণ বড় এই গ্রহ লিয়ো নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত। কে২-১৮ নক্ষত্রের কাছে অবস্থিত এই গ্রহ ‘এক্সোপ্ল্যানেট’ শ্রেণির। এমন কোনও গ্রহ সৌরজগতে নেই। আয়তনে এগুলি পৃথিবীর সমান বা তার চেয়ে বড় ও নেপচুনের সমান বা তার চেয়ে ছোট। ফলে এগুলিকে নিয়ে এখন গবেষণার পথে এগোচ্ছেন গবেষকেরা।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ওই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণ মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড থাকা এবং অ্যামোনিয়া কম থাকায় সেখানে মহাসাগর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ডিমিথাইল সালফাইড নামে একটি কণার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যা পৃথিবীতে কেবল প্রাণী বা উদ্ভিদ থেকেই জন্ম নেয়। মূলত সাগরে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন নামক এককোষী প্রাণী থেকে এই কণা
জন্ম নেয়।
এই গবেষণাপত্রের মূল লেখক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোর্তিবিদ নিক্কু মধুসূদনের মতে, ‘‘পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন পরিবেশে প্রাণের সন্ধান করা যে অত্যন্ত প্রয়োজন তা আমাদের গবেষণা থেকেই প্রমাণ হচ্ছে।’’ ২০১৫ সালে প্রথম কে২-১৮বি গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের উন্নত প্রযুক্তির ফলে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই গ্রহ সম্পর্কে আরও বিশদে গবেষণা করতে পেরেছেন।