দামি মোবাইলটা হাত পিছলে পড়ে গেলে বুকের ভিতরটাও কেমন যেন একটা ধড়াস করে ওঠে, তাই না? ভাঙা তো দূর অস্ত, স্ক্রিনে অল্প-বিস্তর স্ক্র্যাচ হলেই মনটা বড্ড খারাপ হয়ে যায়। তার জন্য যদিও বাজারে মোবাইল-গার্ড আছে। কিন্তু তাতেও ক্ষতি সব সময় এড়ানো যায় না।
মোবাইল ফোন নিয়ে এই দুশ্চিন্তাগুলো আর করতে হবে না। কারণ, এ বার মোবাইল ফোন পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা আটকাবে এয়ারব্যাগ! ঠিক যেমন হয়ে থাকে গাড়ির ক্ষেত্রে। বড় আঘাত পেলেই খুলে যায় গাড়ির ভিতরে থাকা বেলুন। চালক এবং যাত্রীরা রক্ষা পান। তবে শুনতে এক হলেও প্রযুক্তিগত পার্থক্য আছে গাড়ি এবং মোবাইলের এয়ারব্যাগের।
গাড়ির ক্ষেত্রে আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে খোলে এয়ারব্যাগ, তাই যাত্রীরা রক্ষা পেলেও গাড়ির ক্ষতি এড়ানো যায় না। আর মোবাইল এয়ারব্যাগ আঘাত আসতে চলেছে আন্দাজ করে আগেই খুলে যায়। নীচে পড়ার আগেই ফোনের চার কোণ থেকে ৮টি স্প্রিং বেরিয়ে আসে। ফোনকে আঘাত থেকে রক্ষা করে ওই স্প্রিংগুলোই।
আর উপরি পাওনা হল, এর জন্য আলাদা করে ফোনে কোনও ভারী কভারও লাগাতে হবে না। ফোনের পিছনে শুধু ওই ছোট এয়ারব্যাগ কেস লাগিয়ে নিলেই যথেষ্ট।
এয়ারব্যাগে ফ্রি ফল সেন্সর থাকে। হাত ফসকে মোবাইল পড়ে গেলেই ফ্রি ফল সেন্স করে নেবে সেন্সরটি। সঙ্গে সঙ্গে চারকোণ থেকে মোট ৮টি স্প্রিং বেরিয়ে আসবে। রক্ষা পাবে মোবাইল। পড়ে যাওয়া মোবাইল হাতে তুলে নিয়ে স্প্রিংগুলো ভিতরে ঢুকিয়ে ফের ব্যবহার করুন অক্ষত মোবাইল।
জার্মানির অ্যালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ২৫ বছরের ফিলিপ ফ্রেনজেলের ভাবনা-চিন্তার ফলই এই মোবাইল-এয়ারব্যাগ। ফিলিপের মাথায় কিন্তু হঠাৎ করে মোবাইল এয়ারব্যাগের আইডিয়া আসেনি। নিজের খারাপ অভিজ্ঞতা জুড়ে আছে এর সঙ্গে।
কিছু দিন আগে ফিলিপের হাত থেকে মোবাইল ফোন পড়ে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল। সাধের ফোনের এই দশা ফিলিপকে এমন একটা আবিষ্কার করতে বাধ্য করে। তবে এখনও বাজারে আসেনি মোবাইল এয়ারব্যাগ। ফিলিপ জানান, আরও কিছু পরীক্ষা করার পর খুব তাড়াতাড়ি তা বাজারে ছাড়া হবে।