অন্য ছায়াপথ থেকে ঝাঁক ঝাঁক তারা লুঠ করেছিল আমাদের আকাশগঙ্গা!

তারার ঝাঁক চুরি করে নিয়েছিল আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ। কোনও এক সুদূর অতীতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৫ ১৩:১৫
Share:

তারার ঝাঁক চুরি করে নিয়েছিল আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ। কোনও এক সুদূর অতীতে।

Advertisement

জানা ছিল, এই ব্রহ্মাণ্ডে যেটা আমাদের ঠিকানা, সেই মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ আকারে খুব ছোট।

এটাও জানা ছিল, অন্য অন্য ছায়াপথগুলির তুলনায় আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথে তারা বা নক্ষত্রের সংখ্যা খুবই অল্প।

Advertisement

কিন্তু সেই সংখ্যাটা অল্প বলে কোনও এক সুদূর অতীতে আমাদের ছায়াপথ যে অন্য গ্যালাক্সি থেকে এক ঝাঁক তারা লুঠ করেছিল, তা জানা গিয়েছে সম্প্রতি। ওই গোপন সত্যটি উদ্ঘাটন করেছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পাঠানো ছবি ও তথ্যাদি।

লুঠ করা তারার ঝাঁক মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে। ছবি-নাসা।

বিজ্ঞানের পরিভাষায় ওই ঝাঁক ঝাঁক তারাকে বলা হয়, ‘স্টার ক্লাস্টার’। যে ‘ক্লাস্টারে’ থাকে কয়েক হাজার বা কয়েক লক্ষ তারা।

কোথায় ছিল আমাদের ছায়াপথের হাতিয়ে নেওয়া ওই ‘স্টার ক্লাস্টার’?

হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পাঠানো ছবি ও তথ্যাদি জানাচ্ছে, ওই তারার ঝাঁকটি ছিল আকাশে যেখানে ‘লিও’ নক্ষত্রটিকে দেখা যায়, তার দক্ষিণে ‘ক্রেটার কনস্টেলেশানে’। ‘ক্রেটার’ তারার ঝাঁকটি একেবারেই গোলাকার। এমন গোলাকার তারার ঝাঁক থাকে কোনও ছায়াপথের ঠিক মাঝখানে। কিন্তু ‘স্মল ম্যাগেনালিক ক্লাউড’ নামে যে ছায়াপথ থেকে আমাদের মিল্কি ওয়ে এই তারার ঝাঁকটিকে হাতিয়ে নিয়েছিল, সেই ছায়াপথে এই ‘ক্রেটার’ তারার ঝাঁকটি ছিল একেবারেই শেষ প্রান্তে।


আমাদের ছায়াপথ মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রস্থল। ছবি-নাসা।

এর অর্থ, ওই ‘ক্রেটার’ তারার ঝাঁকটির ওপর অভিকর্ষের টান ততটা জোরালো ছিল না ওই ছায়াপথের। তাই সেই ‘ক্রেটার’ তারার ঝাঁকটিকে খুব সহজেই নিজের জোরালো অভিকর্ষ বল দিয়ে টেনে নিতে পেরেছিল মিল্কি ওয়ে।

আমাদের ছায়াপথ আকারে ছোট হলেও, তুলনায় অনেক বেশি পুরনো। তার বয়স অনেক বেশি। কিন্তু ‘স্মল ম্যাগেনালিক ক্লাউড’ ছায়াপথের বয়স অনেক কম। আর সেই ছায়াপথ থেকে যে ‘ক্রেটার’কে চুরি করে নিয়েছিল আমাদের মিল্কি ওয়ে, সেই তারার ঝাঁকটির বয়স মাত্র ৭৫০ কোটি বছর। এর চেয়ে আমাদের ছায়াপথে অন্য যে সব তারার ঝাঁক রয়েছে, তাদের বয়স অনেক অনেক বেশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement