বৃহস্পতির কক্ষপথ ছুঁল জুনো

ওয়াশিংটন, ৫ জুলাই: পাঁচ বছরের যাত্রা শেষে বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করল নাসার মহাকাশযান জুনো। সৌরমণ্ডলের উৎস সম্পর্কে তথ্য খুঁজতে ২০১১ সালে ফ্লোরিডা থেকে পৃথিবীর মাটি ছেড়েছিল জুনো। নাসার গবেষক স্কট বল্টন মঙ্গলবার সকালে জুনোর সাফল্যের কথা জানান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৬ ০৩:০৭
Share:

পাঁচ বছরের যাত্রা শেষে বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করল নাসার মহাকাশযান জুনো। সৌরমণ্ডলের উৎস সম্পর্কে তথ্য খুঁজতে ২০১১ সালে ফ্লোরিডা থেকে পৃথিবীর মাটি ছেড়েছিল জুনো। নাসার গবেষক স্কট বল্টন মঙ্গলবার সকালে জুনোর সাফল্যের কথা জানান। ১১০ কোটি ডলার খরচ করে এই মহাকাশযানটিকে বানানো হয়েছে বলে নাসা সূত্রের খবর।

Advertisement

রোমান দেবতা জুপিটারের নাম অনুসারে বৃহস্পতি গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে জুপিটার। আর জুপিটারের স্ত্রী জুনোর নাম অনুসারে নামকরণ হয়েছে মহাকাশযানটির। নাসা সত্রে বলা হয়, পাঁচ বছরে ২৭০ কোটি কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে জুনো। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জুনোর গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে তাকে বৃহস্পতির মাধ্যাকর্ষণ বলয়ের আওতায় নিয়ে যাওয়াই ছিল অন্যতম চ্যালেঞ্জ। হিসেবে সামান্য ভুলচুক হলে কক্ষপথে না-ঢুকে মহাশূন্যে হারিয়ে যেত জুনো।

ডিম্বাকার কক্ষপথে বৃহস্পতিকে ঘিরে এক বার পাক খেতে পৃথিবীর হিসেবে জুনোর চোদ্দো দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে নাসা। ঘুরতে ঘুরতে বৃহস্পতির বিপুল চৌম্বক ক্ষেত্র, মাটির গঠন, জলের চিহ্ন আছে কি নেই— এ সব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে সে। প্রায় দু’বছর বৃহস্পতিকে ঘিরে পাক খাবে সে। পাক খেতে খেতেই সে বৃহস্পতির বিভিন্ন অংশের ছবি পাঠতে থাকবে। ২৭ অগস্ট জুনোর কাছ থেকে প্রথম ছবি পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছে নাসা।

Advertisement

এর আগেও ১৯৮৯ সালে বৃহস্পতিতে মহাকাশযান গ্যালিলিও পাঠিয়েছিল নাসা। ২০০৩ সালে গ্যালিলিও ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ১৩ বছর পর পর জুনোই প্রথম উঁকি দিল বৃহস্পতির কক্ষপথে।

নাসার দাবি, জুনো গ্যালিলিও-র চেয়ে আরও অনেক কাছ থেকে বৃহস্পতির তথ্য পাঠাতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement