National News

মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রক্রিয়ায় ইসরোর রকেট উড়বে ৫ জুন

আবারও একটি পালক জুড়তে চলেছে ইসরোর মুকুটে। ইসরো এ বার মহাকাশে পাঠাচ্ছে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ (জিএসএলভি-মার্ক-৩)। যা ৪ টন ওজনের ‘বোঝা’ (উপগ্রহ) মাথায় চাপিয়ে হুশ্ করে পাড়ি জমাবে মহাকাশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ১৫:১০
Share:

জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেট। ছবি:সংগৃহীত।

আবারও একটি পালক জুড়তে চলেছে ইসরোর মুকুটে।

Advertisement

ইসরো এ বার মহাকাশে পাঠাচ্ছে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ (জিএসএলভি-মার্ক-৩)। যা ৪ টন ওজনের ‘বোঝা’ (উপগ্রহ) মাথায় চাপিয়ে হুশ্ করে পাড়ি জমাবে মহাকাশে। আগামী ৫ জুন। আগামী দিনে এই জিএসএলভি-মার্ক-৩ রকেটে চাপিয়েই ভারতের মাটি থেকে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর।

৫জুন অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে ওই উৎক্ষেপণের প্রস্ততি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান এএস কিরণ কুমারের কথায়, ‘‘শক্তিশালী এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ এই রকেটের সফল উৎক্ষেপণের জন্য আমরা এখন তৈরি হচ্ছি। এই পরিকল্পনাটি সফল হলে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে ভারত। দেশের মাটিতে দেশীয় প্রযুক্তিতে গড়া এই সর্বাধুনিক রকেট বিপ্লব আনবে বিশ্ব বাজারে।’’

Advertisement

কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে জিএসএলভি-মার্ক-৩-র?

ইসরো জানিয়েছে, শক্তিশালী এই রকেটটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। দৈর্ঘ্যে মাত্র ৪৩ মিটার। কিন্তু ওজনে প্রায় ৬৪০ টন। অর্থাৎ সম্পূর্ণ যাত্রীবাহী একটি বড় জাম্বো জেট বিমানের ওজনের প্রায় ৫ গুণ। শুধু ওজন নয়, শক্তিও রীতিমত তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো এই রকেটের। কারণ, এর পিঠে চাপিয়ে ৪ টনেরও বেশি ওজনের উপগ্রহকে পাঠানো যাবে মহাকাশে। এর আগে ২.২ টন ওজনের বেশি ভারী কোনও উপগ্রহকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রকেটে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠাতে পারেনি ইসরো। এমনকী, পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে ন্যূনতম ৮ টন ওজনের উপগ্রহও পাঠানো যাবে এই শক্তিশালী রকেট থেকে।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর কোথা থেকে বেরচ্ছে ওই হিরে ঠিকরোনো আলো?

প্রথমে রকেটটির নাম ছিল লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ (এলভিএম-৩)। পরে তার নাম বদলে রাখা হয় জিএসএলভি-মার্ক-৩। বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ইসরো জানিয়েছে, এই রকেটে চাপিয়েই পরে মহাকাশে ভারতীয় মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম অভিযানের জন্য কোনও ভারতীয় মহিলা মহাকাশচারীকেই বেছে নেওয়া হবে। তবে সরকারি অনুমোদনের পরেই সেই পদক্ষেপ করা হবে। তার ফলে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ বা ‘এসা’)-র মতো বিদেশি সংস্থাগুলির ওপর আর ইসরোকে নির্ভর করতে হবে না। শুধু তাই নয়, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পরে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দৌড়ে ভারতের জায়গাটা হবে চতুর্থ।

ইসরোর সাফল্য এর আগেও নজর কেড়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে রেকর্ড গড়েছিল ইসরো। পরের চমক আসে তার কয়েক মাস পরেই। গত ৫ মে পাকিস্তান ছাড়া সার্ক-এর ৬টি দেশকে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতিতে নতুন উপগ্রহ উপহার দিয়ে নজির গড়ে ভারত। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নততর করতে ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ নামে ওই সর্বাধুনিক উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement