বহু ক্ষেত্রেই র্যাট পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসার পরেও আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হয়েছে। -ফাইল ছবি।
আলফা, বিটা, ডেল্টার চেয়েও ধূরন্ধর ওমিক্রন। কারণ করোনাভাইরাসের অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রন নিজেকে বেশি বদলাতে পেরেছে (মিউটেশন)।
তাই ওমিক্রন সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধু ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা (র্যাট)’-র উপর ভরসা করাটা উচিত হবে না। আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’ শনিবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ডেল্টা-সহ করোনাভাইরাসের অন্য রূপগুলির সংক্রমণ ধরার জন্যও র্যাট-এর চেয়ে বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে আরটিপিসিআর পরীক্ষা। কারণ, বহু ক্ষেত্রেই র্যাট পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসার পরেও আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হয়েছে।
আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’ শনিবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে র্যাট পরীক্ষার ফলাফলে আরও বেশি অসঙ্গতি ধরা পড়তে পারে। কারণ, করোনার অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রন আরও বেশি ধূরন্ধর র্যাট পরীক্ষার ‘চোখে ধুলো দেওয়া’র জন্য।
করোনাভাইরাসের একেবারে বাইরে শুঁড়ের মতো স্পাইক প্রোটিন ছাড়াও থাকে আরও দু’ধরনের প্রোটিন। সেগুলিরও মিউটেশন হয়।
র্যাট পরীক্ষা করা হয় শুধুই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে চিহ্নিত করার জন্য। পক্ষান্তরে, আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ধরা পড়ে ভাইরাসের ভিতরে থাকা আরএনএ-সহ জেনেটিক পদার্থগুলিকেও।
তাই আরটিপিসিআর পরীক্ষায় অনেক বেশি নিখুঁত ভাবে ধরা পড়ে ভাইরাসের সংক্রমণ।
অন্য রূপগুলির তুলনায় মিউটেশন যে হেতু বেশি হয়েছে ওমিক্রনের তাই তার ভিতরের প্রোটিনগুলিরও মিউটেশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। যা র্যাট পরীক্ষায় ধরা না পড়ার আশঙ্কাই বেশি।
এফডিএ অবশ্য এখনই র্যাট পরীক্ষাকে পুরোপুরি বাতিল করতে রাজি নয়। কারণ, এই পরীক্ষার খরচ খুব কম। ফলাফল খুব কম সময়ে জানা যায়। পক্ষান্তরে, আরটিপিসিআর পরীক্ষার খরচ অনেক বেশি। সেই যন্ত্রও খুব দামি বলে সর্বত্র মেলে না। ফলাফলও ২৪ ঘণ্টার আগে জানা যায় না।
অথচ ওমিক্রনের সংক্রমণের হার অন্য রূপগুলির তুলনায় অনেক বেশি। তাই বহু লোকের তাড়াতাড়ি কোভিড পরীক্ষা করানোর জন্য র্যাট-এর প্রয়োজন রয়েছে। তবে এফডিএ-র বক্তব্য, তার পরেও আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত ফলাফলের ব্যাপারে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য।