ফেসবুক মেসেঞ্জার কিড্স অ্যাপে এ বার নতুন এক সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে যেখানে সবাই ব্যস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে বাদ যাচ্ছে না বাচ্চারাও। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন, বর্তমানে বাচ্চাদের জন্যও রয়েছে ফেসবুক মেসেঞ্জার কিডস অ্যাপ। যার মাধ্যমে বাচ্চারাও অনলাইনে করতে পারছে চ্যাট। যদিও তাতে নজরদারি চালাতে পারবেন তাদের অভিভাবকেরা, বাচ্চারা কার সঙ্গে কথা বলবে সেটাও তাঁরাই বেছে দিতে পারবেন।
সেই ফেসবুক মেসেঞ্জার কিড্স অ্যাপে এ বার নতুন এক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অচেনা লোকজনদের সঙ্গে বাচ্চারা চ্যাট করতে পারছে যা আগে তাদের পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। এবং অভিভাবকরাও সে সম্পর্কে জানতে পারছেন না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রাম্ত একটি ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুকের তরফ থেকে প্রত্যেক অভিভাবককে এই নতুন অসুবিধা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
এই সমস্যা সম্পর্কে জানার আগে জানতে হবে ফেসবুক মেসেঞ্জার কিডস অ্যাপ কী?
ফেসবুক মেসেঞ্জার কিডস ব্যবহার করতে পারে ৬-১২ বছর বয়সী বাচ্চারা। যারা তাঁদের অভিভাবকদের নজরদারিতে এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবে। ২০১৭-র ডিসেম্বরে এই অ্যাপটি লঞ্চ করা হয়। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড, দু’জায়গাতেই ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপ। অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য অভিভাবককে তাদের বাচ্চাদের স্মার্টফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করে প্রোফাইল তৈরি করে দিতে হবে। কাদের সঙ্গে বাচ্চারা কথা বলবে সেটাও ঠিক করে দেবেন তাঁরাই। বাচ্চারা নতুন কোনও কনট্যাক্ট যোগ করতে গেলে অভিভাবকের কাছে নোটিফিকেশন যাবে এবং তাঁরা সম্মতি দিলে তবেই বাচ্চারা নতুন কাউকে অ্যাড করতে পারবে, নচেৎ নয়।
ওই ওয়েবসাইট আরও জানিয়েছে, অচেনা ব্যক্তিদের সঙ্গেও বাচ্চারা চ্যাট করতে পারছে। ফেসবুকের তরফ থেকে অভিভাবকদের উদ্দেশে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমরা এই গ্রুপ চ্যাট বন্ধ করে দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এ রকম আর কোনও গ্রুপ চ্যাট তৈরি না হয় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। যদি এই মেসেঞ্জার কিডস অ্যাপ এবং অনলাইন সেফটি সম্পর্কে আপনাদের কোনও প্রশ্ন থাকলে আমাদের হেল্প সেন্টার এবং মেসেঞ্জার কিডস পেরেন্টাল কন্ট্রোলে যোগাযোগ করুন।’
আরও পড়ুন: গুগল ক্রোম এবং ফায়ারফক্সের এক্সটেনশন থেকে ফাঁস হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য!