লাল গ্রহ থেকে কে বা কারা এই বার্তা পাঠাল, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ছবি: নাসা।
মঙ্গল থেকে ‘ভিন্গ্রহীদের’ সাঙ্কেতিক বার্তা উড়ে এল পৃথিবীর বুকে! বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথম। কিন্তু লাল গ্রহ থেকে কে বা কারা এই বার্তা পাঠাল, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
মহাকাশের যে জায়গাগুলি সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মনে মোটামুটি একটি ধারণা রয়েছে, তার মধ্যে মঙ্গল অন্যতম। ইতিমধ্যেই ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে অভিযানের প্রস্তুতিও শুরু করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তার মধ্যেই মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে এল এই সাঙ্কেতিক বার্তা।
তবে এই সাঙ্কেতিক বার্তা কোনও ভিন্গ্রহীদের তরফে পাঠানো হয়নি। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)-র তরফে এই পরীক্ষামূলক বার্তা পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। ইএসএ এই বার্তা পাঠাতে বিশেষ ‘এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার’ ব্যবহার করেছে। বিজ্ঞানীদের তরফে বার বার জানানো হয়েছে, মঙ্গলের আবহাওয়া এবং পরিবেশ মানুষের বসবাসের উপযুক্ত নয়। এখনও পর্যন্ত সে গ্রহে প্রাণের কোনও চিহ্ন মেলেনি। তবে ভবিষ্যতে যদি মঙ্গল থেকে কোনও সাংকেতিক বার্তা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তা হলে তা কেমন হবে তা পরীক্ষা করে দেখতেই পরোক্ষ ভাবে এই সাঙ্কেতিক বার্তাটি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন ইএসএ-র বিজ্ঞানীরা। ২৪ মে রাত ৯টা নাগাদ এই বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে ইএসএ-র বিজ্ঞানী ড্যানিয়েলা ডি পাওলিস বলেন, ‘‘মানব সভ্যতার প্রথম থেকেই মানুষ শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির অর্থ অনুসন্ধান করে আসছে৷ বহির্বিশ্ব থেকে সাঙ্কেতিক বার্তা পাওয়াও সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হবে।’’
ইএসএ মহাকাশযান অক্টোবর ২০১৬ থেকে মঙ্গলগ্রহ প্রদক্ষিণ করে সম্ভাব্য জৈবিক বা ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপের প্রমাণ খুঁজছে।