জিস্যাট-১ উপগ্রহ। ছবি-ইসরোর সৌজন্যে।
অতিমারি পর্বে থমকে ছিল যাবতীয় কাজকর্ম। দেড় বছর পর আবার রকেট ও উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য কোমর বেঁধে নামছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’।
দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো সবচেয়ে শক্তিশালী জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল(জিএসএলভি)-এফ১০ রকেটের পিঠে চাপিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরো পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাচ্ছে মহাকাশ থেকে ভূপর্যবেক্ষণের উপগ্রহ জিও ইমেজিং স্যাটেলাইট(জিস্যাট)-১-কে।
ইসরো জানিয়েছে, অত্যন্ত শক্তিশালী এই জিএসএলভি রকেট সর্বাধিক ৫ টন ওজনের কোনও উপগ্রহকে নিখুঁত ভাবে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করতে পারে।
মঙ্গলবার ইসরো জানিয়েছে, আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে জিস্যাট-১-এর উৎক্ষেপণ হবে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে। এর আগে জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেটের পিঠে চাপিয়ে ইসরো চাঁদের কক্ষপথে পাঠিয়েছিল চন্দ্রযান-২-কে। যা এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
ভয়াল বন্যা ও সাইক্লোনের মতো নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় যাতে সেই সব দুর্যোগের আগাম খবর পাওয়া যায়, তারই জন্য জিস্যাট-১-এর মতো শক্তিশালী উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হচ্ছে বলে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে।
ইসরো সূত্রের খবর, ভূপর্যবেক্ষণের উপগ্রহ জিস্যাট-১ রোজ দিনে-রাতে ৪ থেকে ৫ বার প্রদক্ষিণ করবে পৃথিবীকে। মহাকাশ থেকে নজর রাখবে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের উপর। উপগ্রহে থাকবে ৬টি ব্যান্ডের অনেকগুলি ইমেজিং সেন্সর।
অগস্টে জিস্যাট-১ উৎক্ষেপণের পরের চার মাসে আরও পাঁচটি বড়সড় উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইসরো সূত্রে খবর। তাদের অন্যতম র্যাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট ইওএস-৪। যা দিনে-রাতে মেঘ ফুঁড়েও নজর রাখতে পারবে ভূপৃষ্ঠের উপর। পিএসএলভি রকেটে চাপিয়ে এই উপগ্রহটি সেপ্টেম্বরেই পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাবে ইসরো। উপগ্রহটিকে কাজে লাগাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও।
আগামী দু'বছরের মধ্যে গগনযান, চন্দ্রযান-৩ এবং ভারতের প্রথম সৌর অভিযান আদিত্য-এল-ওয়ানেরও পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর।