চিনের গবেষকের দাবি, গর্ভস্থ ভ্রূণের জিনে বদল ঘটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
খোদার কাজে কাটাছেঁড়া। তাই করেছেন এক চিনা গবেষক। গর্ভস্থ ভ্রূণের জিনে বদল ঘটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সে খবর গত কয়েক মাস রাখাঢাকাই ছিল। প্রকাশ্যে এল এত দিনে। চিনের ওই গবেষকের দাবি, বিশ্বের প্রথম ‘জেনেটিক্যালি এডিটেড’ শিশুকে পৃথিবীতে এনেছেন তাঁরা। দুই যমজ কন্যার জন্ম হয়েছে এই মাসে।
ওই গবেষকের দাবি যদি সত্যি হয়, তা হলে বিজ্ঞান-দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়া পদক্ষেপ। যদিও জিনের উপরে কারসাজি, তাতে কাটাছেঁড়া করে বদল (এডিটিং) ঘটানোর ভবিষ্যৎ-পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আমেরিকা-সহ প্রায় সব দেশেই মানুষের ডিএনএ নিয়ে কাটাছেঁড়া নিষিদ্ধ। বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশের দাবি, কৃত্রিম উপায়ে বদলানো জিনটি যখন পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত হবে, তখন সেটা ঝুঁকির হতে পারে।
সেই ঝুঁকির পরোয়া না করে এই ‘নিষিদ্ধ’ কাজটি করেছেন শেনঝেনের বিজ্ঞানী হে চিয়ানকুই। সাতটি দম্পতিকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতির সাহায্যে তাঁদের গর্ভস্থ ভ্রূণে বদল ঘটিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের মধ্যেই একটি দম্পতি এ মাসে মা-বাবা হয়েছেন। হে জানাচ্ছেন, ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে এইচআইভি। মানুষের জিনে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিই তাঁর উদ্দেশ্য।
সোমবার হংকংয়ে একটি বিজ্ঞান সম্মেলনে নিজের গবেষণার কথা জানান হে। বলেন, ‘‘এটা নজির হয়ে থাকবে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের গবেষণাকে পৃথিবীর সর্বত্র বৈধতা দেওয়া হবে কি না, সেটা আমাদের সমাজই ঠিক করে দেবে।’’