মহাকাশে চন্দ্রযান-৩-এর গতিবিধি। ছবি: ইসরো।
ধীরে ধীরে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতে তৈরি চন্দ্রযান-৩। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩ চাঁদে যাওয়ার পথে একের পর এক কক্ষপথ অতিক্রম করে চলেছে। সোমবারও কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সফল ভাবে সম্পন্ন করেছে ইসরো। এই নিয়ে চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণের পর দ্বিতীয় বার যানটি কক্ষপথ পরিবর্তন করল। চাঁদের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চন্দ্রযান ৩।
ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ বর্তমানে ৪১৬০৩ কিমি x ২২৬ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। মহাকাশে নির্বিঘ্নেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এই চন্দ্রযান। মঙ্গলবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে আবার তার কক্ষপথ পরিবর্তিত হবে।
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের গণ্ডি ছাড়িয়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আরও তিন বার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে চন্দ্রযান-৩। তার পর চাঁদের দিকে এগিয়ে যেতে আর তার কোনও বাধা থাকবে না।
শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ। যদি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ থেকে ল্যান্ডার বিক্রম সফল ভাবে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে এবং তার পরে রোভার প্রজ্ঞানকে সঠিক ভাবে অবতরণ করাতে পারে, তবে ভারতীয় মহাকাশ অভিযানের ইতিহাস নতুন মাত্রা পাবে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে প্রায় ৪০ দিন পরে, আগামী ২৩ বা ২৪ অগস্টের মধ্যে চাঁদের মাটিতে নামতে পারে চন্দ্রযান-৩-এর সৌরচালিত ল্যান্ডার বিক্রম। সেখান থেকে সৌরচালিত রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়ে চাঁদের মাটি ছোঁবে। চাঁদের মাটির চরিত্র, বিভিন্ন খনিজ পদার্থের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি, যে অঞ্চল দিয়ে প্রজ্ঞান চলাচল করবে সেখানকার চাঁদের জমিতে অশোকস্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক আঁকা হবে।