প্রযুক্তি জোগাবে জাপান, ২০২০-তে ফের চাঁদে

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কেনজি হিরামাৎসু জানিয়েছেন, ‘‘চন্দ্র অভিযানের প্রশ্নে ভারত যে ভবিষ্যতে তার অবদান রেখে যাবে, সে ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। সঙ্গে জাপানের গর্বিত উপস্থিতিও থাকবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরের বার চাঁদের মাটিতে নামার সময় যাতে কোনও সমস্যা না-হয় তা নিশ্চিত করতে এগিয়ে এল জাপান।

Advertisement

এর আগে অরবিটার পাঠালেও চাঁদে এখনও যান নামায়নি জাপান। আগামী বছর চাঁদে প্রথম বার ল্যান্ডার নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ল্যান্ডারটির নাম ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা সংক্ষেপে ‘স্লিম’। বিক্রম নীচে নামতে নামতে চাঁদের ছবি তুলে নামার উপযুক্ত স্থল ঠিক করে নিয়ে পালকের মতো নামবে, এমনটাই ঠিক ছিল। কিন্তু ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকতে তার সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় গত শুক্র বার রাতে। জাপানের স্লিম ল্যান্ডারও চাঁদের ছবি তুলতে তুলতে নামবে। তবে হালফিলের মোবাইল ক্যামেরাতেও যেমন মুখের অবয়ব চেনার (ফেস রেকগনিশন) ব্যবস্থা থাকে, স্লিমে থাকবে তার উন্নততর সংস্করণ। এতে চন্দ্রপৃষ্ঠের উঁচু-নীচু বা সমতল অংশ অনেক ভাল ভাবে সমঝে যাবে ল্যান্ডার। এবং ঠিকঠাক নামতে তা সাহায্য করবে। স্লিমের ওই অবতরণ প্রযুক্তি এ বার ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নেবে জাপান।

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কেনজি হিরামাৎসু জানিয়েছেন, ‘‘চন্দ্র অভিযানের প্রশ্নে ভারত যে ভবিষ্যতে তার অবদান রেখে যাবে, সে ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। সঙ্গে জাপানের গর্বিত উপস্থিতিও থাকবে।’’

Advertisement

দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছরই জাপান এয়ারস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জাক্সা)-র সঙ্গে যৌথ ভাবে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইসরো। এটি অবশ্য কোনও নতুন উদ্যোগ নয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারত ও জাপানের মধ্যে চন্দ্রাভিযান নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। ২০১৭ সালে তা রূপায়ণের ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত হয়। ২০১৮ সালে যৌথ অভিযানের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়।

জাক্সার দাবি, ‘স্লিম’-এর অবতরণ প্রযুক্তি বিশ্বে প্রথম, যা নিখুঁত ভাবে চাঁদের মাটিতে নামার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষম। এ ছাড়াও ভারতকে তাদের ‘নেভিগেশন গাইডেন্স সেন্সর’ এবং ‘গাইডেন্স অ্যালগারিদম’ প্রযুক্তিও দেবে জাপান। এগুলি চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায়, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও নিখুঁত সফ্‌ট ল্যান্ডিং সম্ভব করে তুলবে।

গত শুক্রবার রাতে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অবতরণ ঠিক মতো হয়নি। এখনও পর্যন্ত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ফেরানো যায়নি। সময় যত গড়াবে, কাজটা ততই কঠিন হয়ে পড়বে। জাপানের প্রযুক্তি পাওয়া গেলে আগামী বছরের অভিযানে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement