অ্যাস্ট্রোস্যাটের চোখে ধরা পড়েছে তিনটি গ্যালাক্সির ঝাঁকের ধাক্কাধাক্কি। ছবি ইসরোর সৌজন্যে।
এক অদ্ভুতুড়ে গ্যালাক্সির ঝাঁক (গ্যালাক্সি ক্লাস্টার) বা বলা ভাল, গ্যালাক্সিদের ভবিষ্যতের একটি ‘মহাঝাঁক’ (গ্যালাক্সি সুপার ক্লাস্টার)-এর হদিশ পেল ভারতের গর্বের উপগ্রহ ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’।
যে ঝাঁকে রয়েছে বিশাল তিনটি গ্যালাক্সির ঝাঁক। প্রত্যেকটি ঝাঁকে রয়েছে অন্তত ৫০০টি করে গ্যালাক্সি। আর তারা নিজেদের মধ্যে খুব ধাক্কাধাক্কি করছে। একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়ে সুবিশাল একটা গ্যালাক্সির ঝাঁক বানানোর দিকে এগচ্ছে। ঝাঁকে যেমন প্রচুর মাছ থাকে, তেমনই গ্যালাক্সির একটি ঝাঁকে থাকে প্রচুর গ্যালাক্সি। আর অনেকগুলি ঝাঁক নিয়ে গড়ে ওঠে গ্যালাক্সিদের মহাঝাঁক বা সুপার ক্লাস্টার।
এই ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের ঠিকানা ‘মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি’ বা ছায়াপথ ‘আকাশগঙ্গা’র চেয়ে এই অদ্ভুতুড়ে গ্যালাক্সির ঝাঁকটি চেহারায় অন্তত ১০০ গুণ বড়। আর আমাদের গ্যালাক্সির চেয়ে সেটি কম করে দেড় হাজার গুণ ভারী। রয়েছে আমাদের থেকে ৮০ কোটি আলোক বর্ষ দূরে। তার মানে, আলোর গতিতে ছুটলে (সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল) ওই গ্যালাক্সির ঝাঁক ‘অ্যাবেল-২২৫৬’-এ পৌঁছতে পারা যাবে ৮০ কোটি বছর পর!
আরও পড়ুন- কঠিন পিচে দারুণ ব্যাট করছে ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’!
আরও পড়ুন- মৃত তারাদের ‘আত্মা’ বেরিয়ে যেতে দেখল অ্যাস্ট্রোস্যাট!
এক আগে অ্যাস্ট্রোস্যাট অনেক গ্যালাক্সির সন্ধান পেয়েছে। হদিশ পেয়েছে দু’টি গ্যালাক্সির মিলেমিশে যাওয়ার বা কোনও একটি গ্যালাক্সির, যা গ্যালাক্সির একটি ঝাঁকে ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে গ্যালাক্সির তিনটি ঝাঁক একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়ে গ্যালাক্সিদের মহাঝাঁক বানাচ্ছে, এমন ঘটনা এই প্রথম ‘চোখে’ পড়ল অ্যাস্ট্রোস্যাটের।
ইসরো জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রোস্যাটে থাকা আলট্রা-ভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ (ইউভিআইটি) দিয়েই ওই অদ্ভুতুড়ে সুবিশাল গ্যালাক্সির ঝাঁকের হদিশ মিলেছে। ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে মহাকাশে পাঠানো হয় অ্যাস্ট্রোস্যাটকে।