নাসার দাবি, ১৬ জুলাই যাত্রা শুরু করে ২৪-এ চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন আর্মস্ট্রংরা।
সুযোগ পেয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। প্রথম ভারতীয় হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ অভিযানে শামিল হয়েছিলেন আজ থেকে ঠিক ৩৫ বছর আগে। ফিরে এসে ‘অশোক চক্র’ পেয়েছিলেন। পাঠ্যপুস্তকে স্থানও। কিন্তু এখন? বেঙ্গালুরুতেই থাকেন। অথচ, ইসরোর দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানের অনুষ্ঠানে ডাক পাননি রাকেশ। এবং এ নিয়ে একটি কথাও বলতে চাননি তিনি। তবু ফোনের ও-পারে স্পষ্ট ধরা পড়েছিল তাঁর আক্ষেপ, অভিমান। এডউইন (বাজ়) অলড্রিন আর মাইকেল কলিন্স কিন্তু দিব্যি খোশমেজাজে। পঞ্চাশ বছর পরে আজ আবার তাঁরা ফিরছেন সেই পুরনো জায়গাটায়। চাঁদে পা রাখতে ঠিক যেখান থেকে তাঁরা সওয়ার হয়েছিলেন অ্যাপোলো ১১-এ। আক্ষেপ একটাই, বছর সাতেক আগেই মারা গিয়েছেন মিশন কমান্ডার নিল আর্মস্ট্রং।
চাঁদের মাটিতে পা। ঐতিহাসিক সেই ‘অ্যাপোলো মোমেন্ট’। যা নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। নাসার দাবি, ১৬ জুলাই যাত্রা শুরু করে ২৪-এ চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন আর্মস্ট্রংরা। কিন্তু আদৌ এমনটা ঘটেছিল, নাকি পুরোটাই স্টুডিয়োয় বাজিমাত, গোড়া থেকেই তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এসেছে রাশিয়া। এখনও তারা প্রশ্ন তোলে— চাঁদে পতাকা ওড়ে কী ভাবে? ছবিতে এত ছায়াপাত কিসের? চাঁদের মাটিতে ভারী বুটের ছাপই বা পড়ল কী ভাবে? থাক সে সব। কেনেডি স্পেস সেন্টার কিন্তু আজ থেকেই উৎসবের মেজাজে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিখ্যাত ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনে সাজো সাজো রব। তৈরি লঞ্চপ্যাড। ফের উড়বে ৩৬৩ ফুট লম্বা রকেট ‘স্যাটার্ন ৫’। এ বার অবশ্য পর্দায়, আলো ফেলবে প্রোজেক্টর। আলাবামায় ‘ইউএস স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টার’ থেকে এ দিনই উড়বে ৫ হাজার মডেল রকেট। টানা আট দিন ধরে চলবে ‘অ্যাপোলো ৫০: গো ফর দ্য মুন’ শিরোনামে নানাবিধ অনুষ্ঠান। সর্বসাধারণের জন্য দরজা খোলা থাকবে কেনেডি স্পেস সেন্টারের মিউজিয়ামও। আগামী ২০ জুলাই সদবি’জ নিলামে তুলছে ‘অ্যাপোলো ১১’-এর অভিযাত্রী বাজ় অলড্রিনের ১১টি জিনিস। নিলামে উঠছে অভিযান-ফাইলের প্রথম এবং শেষ পাতাটি। শেষের পাতায় অলড্রিনের সই আর প্রথম পাতায় এখন জ্বলজ্বল করছে বিখ্যাত প্রথম শব্দ ‘লিফ্টঅফ’!