সুস্বাদু খাবার খেয়েই কী ভাবে চাঙ্গা থাকা যায়? ছবি: সংগৃহীত
বর্ষার মরসুম মানেই যত রকম যত রকম রোগের বাড়বাড়ন্ত। কারও জ্বর, কারও সর্দি-কাশি লাগা, কারও অ্যাসিডিটি-গ্যাস-পেটের গোলমাল লেগেই রয়েছে। বর্ষায় ঠান্ডা-গরম আবহাওয়া এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জীবাণু সহজেই বাড়তে পারে। মেয়েদের যোনিতে চট করে নানা রকম সংক্রমণ হয়ে যায় এ সময়ে। আর্দ্র পরিবেশ, তাপমাত্রার তারতম্য, যোনির পিএইচে হেরফের— এ সবই ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক তৈরির জন্য আদর্শ। বর্ষার মরসুমে সংক্রমণ ঠেকাতে রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ানো জরুরি। এ মরসুমে জীবাণুর সংক্রমণ, পেটের গোলমাল, খিদে না পাওয়া, ঠান্ডা লাগা, জ্বর জ্বর ভাব— এ সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কয়েকটি স্বাস্থ্যকর খাবারের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
সব্জির স্যুপ: শাকসব্জি মাত্রেই উপকারী। ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ নানা রকম সব্জি দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন স্যুপ। জ্বর সারাতেও এই স্যুপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্যুপ খেলে গলায় আরামও পাবেন। গাজর, বিট, ক্যাপসিকাম, বিন্স, পালং শাক একসঙ্গে সেদ্ধ করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে মাখন দিয়ে সেই মিশ্রণটি ঢেলে তাতে লেবু ও আদার রস মিশিয়ে নিন। বেশি করে গোলমরিচ আর সামান্য মাখন দিয়ে খেয়ে নিন সব্জির স্যুপ।
ডাঁটা চচ্চড়ি: কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে তাতে বড়ি ভেজে তুলে নিন। এ বার তেলে লম্বা করে কাটা আলু লাল করে ভেজে নিন। আলু ভাজা হয়ে এলে ডাঁটার সঙ্গে নুন হলুদ দিয়ে মিনিট পাঁচেক নাড়াচাড়া করে নিন। এ বার পরিমাণ মতো জল দিয়ে কড়াই ঢেকে রাখুন। সব্জি সেদ্ধ হয়ে গেলে প্রায় আগে থেকে ভাজা বড়ি আর সর্ষে বাটা মিশিয়ে খানিকটা সর্ষের তেল দিয়ে বেশ গা-মাখা করে নিন। উপর থেকে কাঁচা তেল আর কাঁচা লঙ্কা ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে নিন।
ফল খেলে প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রুট স্যালাড: আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি টুকরো করে নিন। বেদানা ছাড়িয়ে রাখুন। একটি বড় বাটিতে টক দই নিয়ে ফেটিয়ে নিন। তাতে একে একে নুন, চাট মশলা, লঙ্কা গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে নিন। তার পরে সব ফলের টুকরো দিয়ে নেড়ে নিন আরও এক বার। বাটিটি ফ্রিজে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পরে ফ্রিজ থেকে বার করে উপর থেকে চাট মশলা ছড়িয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন ফ্রুট স্যালাড।