বেসন দিয়েই স্বাস্থ্যকর ৩ টি রেসিপি। ছবি: শাটারস্টক।
হয় সকালের ব্যস্ততা, নয় কুঁড়েমি। মাঝেমাঝে বাদ পড়ে যায় দিনের সবচেয়ে জরুরি খাবার— প্রাতরাশ। তবে একটু আগে থেকে পরিকল্পনা করলেই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় না। হেঁশেলের সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় সুস্বাদু সব জলখাবার। এই তালিকায় রাখতে পারেন বেসনকেও।
বেসনের নাম উঠলেই কোথাও না কোথাও ওর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর তকমা জুড়ে যায়। জুড়বে না-ই বা কেন! ভাজাভুজি মানেই তো বেসন। আর ভাজাভুজি তো আর স্বাস্থ্যকর হয় না। তবে একটু বুদ্ধি খরচ করলেই বেসন দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন স্বাস্থ্যকর জলখাবার। রইল এমন ৩টি রেসিপির হদিস।
বেসনের চিলা: প্রথমে একটি পাত্রে সুজি আর দই ভাল করে মিশিয়ে দশ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। এর পর সব রকম সব্জি, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, বেসন, নুন আর সামান্য হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার ননস্টিক পাত্রে নামমাত্র তেল দিয়ে প্যানকেকের আকারে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বেসনের চিলা।
বেসনের অমলেট।
বেসনের টোস্ট: বর্ষাকালে পাউরুটির পকোড়া অনেকেই খেয়েছেন। পকোড়া তো স্বাস্থ্যকর হয় না। তবে প্রাতরাশের জন্য বেসন দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ব্রেড টোস্ট। পাউরুটিগুলি তিন কোণা আকারে কেটে নিন। এ বার একটা ডিম, বেসন, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, নুন দিয়ে ঘন মিশ্রণ বানান। পাউরুটিগুলি বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে অল্প তেলে ভেজে নিন। সস্ দিয়ে পরিবেশন করুন গরমাগরম বেসন টোস্ট।
বেসনের অমলেট: একটি পাত্রে বেসন, পেঁয়াজ কুচি, টোম্যাটো কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, জোয়ান, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো আর পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তাওয়ায় সামান্য ঘি মাখিয়ে অমলেটের মতো ভেজে নিন। নিরামিষের দিনেও জমিয়ে উপভোগ করতে পারেন বেসনের এই অমলেট।