পটল দিয়ে সুস্বাদু পদ রাঁধা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সব্জি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু সব্জির নাম শুনলে একরাশ বিরক্তি গ্রাস করে মনকে। পটল তার মধ্যে অন্যতম। দোরমা হোক কিংবা ঘি দেওয়া নিরামিষ তরকারি— যতই বাহারি করে রাঁধা হোক, অনেকের মন কিছুতেই জয় করতে পারে না পটল। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, পটল দিয়েও নানা ধরনের বাহারি এবং মুখরোচক পদ রান্না করা যায়। পটল দিয়ে কী কী মুখরোচক পদ তৈরি করা যায়?
পটল বিরিয়ানি
বিরিয়ানি বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে আলু, মাংস, ডিম দেওয়া ধোঁয়া ওঠা এক প্লেট গরম হলুদ ভাত। তবে বিরিয়ানি কিন্তু পটল দিয়েও তৈরি হতে পারে। বানিয়ে খাওয়ার আগেই নাকচ করে না দিয়ে, পটল দিয়ে এক বার বানিয়ে দেখুন। নিরামিষের দিন মাংসের বদলে আলু এবং আতর ছড়িয়ে বিরিয়ানি বানিয়ে নিলে মন্দ হবে না।
রায়তা
বিরিয়ানি খাবেন আর সঙ্গে রায়তা থাকবে না, তা তো হতে পারে না। পটলের বিরিয়ানির সঙ্গে বানিয়ে নিতে পারেন পটলের রায়তাও। মাঝেমাঝে স্বাদ বদলেরও প্রয়োজন আছে। ধনেগুঁড়ো, জিরে আর পুদিনা পাতা দিয়ে পটলের রায়তা বানিয়ে দেখতে পারেন। বিরিয়ানির সঙ্গে খারাপ লাগবে না।
বাড়িতে মশলা পটল বানাতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
পকোড়া
শরৎকাল হলেও মাঝেমাঝেই ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে। বর্ষার দিনে ভাজাভুজি খেতে মন চায়। তখন বাড়িতে যদি শুধু পটল থাকে, তা দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন মুখরোচক পকো়ড়া। ভাল করে বানালে পটলের পকোড়ার স্বাদও মুখে লেগে থাকবে।
মশলা পটল
বাড়িতে অতিথি আসবে। মাছ, মাংসের পাশাপাশি নিরামিষ কোনও পদ রাঁধার কথা ভাবলে বানাতে পারেন মশলা পটল। দই এবং নানা মশলায় ভরপুর এই পদের স্বাদ মনে থাকবে অনেক দিন। অতিথিও খুশি হবেন।