জিভে জল আনা খাঁটি বাঙালি স্ন্যাকস। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবারের সন্ধ্যায় শুধু এক পেয়ালা চা কি ভাল লাগে? সঙ্গে ‘টা’ না হলে সন্ধ্যাটাই যেন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যায়। একেই বৃষ্টির দিন। আবার ছুটি। ভারতের খেলাও আছে। এমন দুর্লভ সন্ধ্যা যদি একপিসও পাওয়া যায়, তা হলে মুচমুচে কিছু খেতেই মন চায়। বিকেল থেকে শুরু হবে ভারত-জ়িম্বাবোয়ের পঞ্চম টি-২০ ম্যাচ। রবিবাসরীয় দুপুরের ভোজ সেরে একেবারে বিকেলেই কিছু খেতে হয়তো ইচ্ছে করবে না। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই খেলা দেখতে দেখতে মনটা খাইখাই করবেই। সেই সময়ের জন্যই বানিয়ে নিন মাছের পুর ভরা লাউপাতার বড়া। আয়োজনটা আগেই সেরে রাখুন। খেলা যখন জমে উঠবে, ছাঁকা তেলে বড়াগুলি ফেলে দিলেই হল। বেশি সময় লাগবে না।
ছুটির দিনের সন্ধ্যায় পিৎজ়া, বার্গার বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের থেকে ঢের গুণে ভাল খাঁটি বাঙালি স্বাদের মাছের পুর ভরা লাউপাতার বড়া। খেতেও যেমন সুস্বাদু, বানানোও সহজ। খুচরো খিদে তো মেটাবেই, গ্যাস-অম্বলের ভয়ও থাকবে না। তা হলে জেনে নিন কী ভাবে বানাবেন।
উপকরণে যা যা লাগবে:
ডাঁটা সমেত লাউপাতা ৭-৮টি
বাড়িতে যা মাছ থাকবে (রুই, কাতলা বা ছোট মাছ)
বড় একটা পেঁয়াজ কুচিয়ে নেবেন
রসুন কুচি ৬-৭টি
কাঁচা লঙ্কা কুচি ২টি
হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ করে
ধনে পাতা কুচনো হাফ কাপ
কালোজিরে ২ চা চামচ
বেসন এক কাপ, চালের গুঁড়ো থাকলে ২ চা চামচ
নুন স্বাদমতো, জল প্রয়োজন মতো
কী ভাবে বানাবেন?
প্রথমে ডাঁটা সমেত লাউপাতাগুলি ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। বাড়িতে রুই, কাতলা বা যা মাছ আছে, আগে জলে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার সময়ে জলে একটু নুন ও হলুদ ফেলে দেবেন। যদি ৭ থেকে ৮টা বড়া বানাতে হয় তাহলে তিন থেকে চার পিস মাছের টুকরো নিয়ে নেবেন। ভাল করে সেদ্ধ হয়ে এলে সেগুলি হাত দিয়ে মেখে নিন। কাঁটা বার করে নেবেন। এ বার তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, রসুন কুচি, ধনে পাতা কুচি, সামান্য হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মেখে পেস্ট করে নিন।
লাউপাতায় সেদ্ধ মাছের পুর ভরেও ভাজা যায়, আবার চাইলে মাছ সেদ্ধ করে সেগুলি কড়াইতে হালকা নেড়ে ঝুরঝুরে করে নিতে পারেন। তার জন্য কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে কালোজিরে ফোড়ন দিন। একে-একে রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, নুন দিয়ে নেড়ে সেদ্ধ মাছের টুকরোগুলি দিয়ে দিন। মাছের কাঁটা বার করে নিতে হবে আগে। ভাল করে নাড়তে থাকুন যত ক্ষণ না ঝুরঝুরে হয়। সামান্য হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দেবেন। সবটা ভাজা ভাজা হয়ে এলে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এ বার পুরগুলো ছোট ছোট বলের মতো করে রাখুন।
ছড়ানো একটা পাত্রে বেসন, কালোজিরে, নুন ও অল্প হলুদ দিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন। চালের গুঁড়ো বাড়িতে থাকলে খুব ভাল। ব্যাটারে মিশিয়ে দিলে বড়া খুব খাস্তা হবে। মাছের পুরের যে বলগুলি বানিয়ে রেখেছেন সেগুলি হাত দিয়ে চেপে চ্যাপ্টা করে লাউপাতাগুলিতে ভরুন। সব ক’টি পাতায় পুর ভরা হয়ে গেলে সেগুলি ব্যাটারে ভাল করে চুবিয়ে নিন ছাঁকা তেলে ভাজতে হবে। এ পিঠ-ও পিঠ লাল করে ভেজে তুলে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।