রকমারি সব্জি কী ভাবে দিলে চেয়ে খাবে খুদে? ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পিৎজ়া, চিপ্সে আপত্তি নেই। কিন্তু সব্জির কোনও পদ দিতে গেলেই যত সমস্যা। মুখরোচক হয় না বলেই তরিতরকারিতে আগ্রহ থাকে না শিশুদের। তা হলে কী ভাবে সব্জি খাওয়াবেন সন্তানকে? খুদের পছন্দের খাবারে সব্জি এমন ভাবে মিশিয়ে দিতে পারেন, যাতে সে বুঝতে না পারে। আবার চিপ্স থেকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বদলে দিতে পারেন আলুর বদলে গাজর, বিট দিয়েও।
গাজর ভাজা: ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে আলু যেমন করে কাটা হয়, ঠিক তেমন ভাবেই গাজর কাটতে হবে। তার পর তা নুন জলে হালকা ভাপিয়ে বরফ জলে চুবিয়ে দিন। গাজর শুকনো করে অলিভ অয়েল, নুন, গোলমরিচ ছড়িয়ে বেক করে নিন বা এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে নিন। খাবার যথাযথ ভাবে পরিবেশনও জরুরি। রেস্তরাঁর মতো কোনও সুন্দর থালায় সস বা মেয়োনিজ় দিয়ে গাজর ভাজা খুদেকে দিন।
মুচমুচে গাজর ফ্রাই দিতে পারেন খুদেকে। ছবি: সংগৃহীত।
কাঁচকলা, বিটের চিপ্স: ভাতের পাতে ভাজাভুজি থাকলে খুদে সোনামুখ করে খেয়ে নেয়? তা হলে কাঁচকলা, বিট দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন চিপ্স। কাঁচকলা, বিট গোল এবং পাতলা করে কেটে জলে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তার পর নুন, সামান্য তেল মাখিয়ে তা বেক করে নিন অথবা এয়ারফ্রায়ারে ভেজে নিন। কড়াইয়ে ভাজতে হলে অল্প তেলে আঁচ কমিয়ে ভাজুন। ছাঁকা তেলে ভাজলে, সব্জির গুণ থাকবে না।
আপ্পাম: ছোট গোল বলের মতো দেখতে আপ্পাম খুদের কাছে আকর্ষক হবে। আর সেই খাবারে ভরে দিতে পারবেন রকমারি সব্জিও। মূলত দক্ষিণ ভারতীয় খাবারটি এখন অনেক বাঙালি হেঁশেলেও জায়গা করে নিয়েছে। একটি পাত্রে দেড় কাপ সুজি, আধ কাপ টক দই, আধ কাপ জল মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে দিয়ে দিন কড়াইশঁটি, ধনেপাতা বাটা, মিহি করে কুচোনো গাজর, ক্যাপসিকাম, স্বাদমতো নুন, চিনি। আপ্পাম তৈরির পাত্রে তেল ব্রাশ করে মিশ্রণটি দিয়ে উল্টে-পাল্টে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সব্জির আপ্পাম।