ছবি:সংগৃহীত।
বাজারে যেন সোনার দামে বিক্রি হচ্ছে টোম্যাটো! হাত দেওয়ার উপায় নেই। বাজারফেরত শহরবাসীর থলিতে তাই উঁকি মারছে না লাল টুকটুকে এই সব্জি। অথচ পাতলা মাছের ঝোল কিংবা কষা মাংসে কয়েক টুকরো টোম্যাটো না দিলে স্বাদ হয় না ভাল। তাই মাছের ঝোল রাঁধার আগে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্ত বাঙালির কপালে। রান্নায় যদি স্বাদ না হয়, তা হলে ভোজনরসিক বাঙালির মনখারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তবে কিছু রান্না আছে যেগুলি স্বাদ স্বয়ংসম্পূর্ণ। টোম্যাটোর উপর ভরসা না করলেও চলে। টোম্যাটোর দাম সাধ্যের মধ্যে না আসা পর্যন্ত না হয় তেমন কিছু পদই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে করা যেতে পারে।
পনির বাটার মশলা
নিরামিষ রান্নায় টোম্যাটো দিলে ভাল লাগে। তবে না দিলেও যে একেবারেই খাবার মুখে তোলা যাবে না, তা নয়। এই যেমন টোম্যাটো ছাড়াই পনির বাটার মশলা রাঁধতে পারেন। রসুন, কাজুবাটা, মাখন, ক্রিম, গরম মশলা, কসৌটি মেথি দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় এই পদ। খাবার মুখে তুললে রান্নায় টোম্যাটো দেননি, তা মনেই হবে না।
পালং পনির
পনিরের আরও একটি পদ রাঁধতে পারেন টোম্যাটো ছাড়াই। তা হল পালং পনির। পালং পনির রান্নার পদ্ধতি কমবেশি সকলেই জানেন। তবে যেহেতু টোম্যাটো দিচ্ছেন না, ফলে এর মশলা হবে একটু অন্য রকম। লাল লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো, কুচোনো রসুন ফোড়ন দিয়ে পালং সেদ্ধ দিয়ে দিন। এই ফোড়নের গন্ধ টোম্যাটোর দুঃখ ভুলিয়ে দেবে।
ডাল
টোম্যাটো দিলে সাধারণ ডালের স্বাদও অসামান্য হয়ে ওঠে। তাই বলে টোম্যাটো না দিলে ডাল একেবারেই খাওয়া যাবে না, বিষয়টি তেমনও নয়। সর্ষে, শুকনো লঙ্কা এবং কারিপাতা— এই তিনটি যদি ফোড়ন দেন, তা হলে টোম্যাটো লাগবে না। টোম্যাটোহীন ডাল খাইয়েই মন জয় করে নিতে পারবেন সকলের।