শিশুদের মনপসন্দ চিনা খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে খুদে সদস্য থাকলে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার আগে দু’বার ভাবতে হয়। বাবা-মা তাঁদের মনপসন্দ খাবার অর্ডার করলেও সন্তানদের কী খাওয়াবেন বুঝতে পারেন না। তা ছাড়া শিশুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বাইরের খাবারও কম খাওয়ান অভিভাবকেরা। রেস্তরাঁর খাবার মানেই তো যথেষ্ট পরিমাণে তেল-মশলাদার নানা পদ। বাড়ির ডাল-ভাত খেতে না চাইলেও মুখরোচক সে সব খাবার অবশ্য সোনামুখ করে খেয়ে নেয় খুদেরা। কিন্তু সন্তানের স্বাস্থ্যের কথাও ভাবতে হবে। আর তাই রেস্তরাঁয় গিয়েও চিন্তায় পড়েন বাবা-মায়েরা। অভিভাবকদের সেই চিন্তা দূর করতে এক নতুন প্রয়াস নিয়েছে চিনা খাবারের রেস্তরাঁ ‘মেইনল্যান্ড চায়না’।
বাচ্চাদের জন্য থাকছে এমন নানা স্বাদের খাবার। নিজস্ব চিত্র।
শুধুমাত্র বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখেই তাদের পছন্দসই কিছু পদ থাকছে এই রেস্তরাঁয়। বড়রা জমিয়ে ভূরিভোজ করবেন আর বাচ্চারা বসে থাকবে তা তো হতে পারে না। খুদেরাও স্বাদ নেবে রকমারি নানা পদের। এবং তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। বাচ্চাদের এই খাবারের জন্য আলাদা করে কোনও টাকা দিতে হবে না। সাত বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরাই একমাত্র এমন সুযোগ পাবে। পরিবার প্রতি দু’জন খুদেকে যত্ন করে খাওয়াবে রেস্তরাঁ। তবে শনি-রবিবার অর্থাৎ ছুটির দিনগুলিতে এই পর্বটি থাকছে না।
বাচ্চাদের খাওয়ানো একটা ঝক্কির ব্যাপার। বাবা-মায়েরাও নাজেহাল হয়ে পড়েন। তবে চাইনিজ খেতে পেলে অবশ্য হাসি ফোটে মুখে। বাচ্চাদের জন্য নির্ধারিত এই বিশেষ ‘ফাইন ডাইনিং’-এ থাকছে চিকেন ফ্রায়েড রাইস, বাটার গার্লিক নুডলস, ভেজ হাক্কা, চিলি পনির, ফিশ ফ্রাই, চিলি চিকেন, ক্রিসপি নুডলসের মতো রকমারি সব খাবার। বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই খাবার তৈরি হবে অলিভ অয়েলে। ডোবা তেলেও ভাজা হবে না কোনও খাবার। এই রেস্তরাঁর বেশ কয়েকটি শাখা শহরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সবগুলিতেই থাকছে এই সুযোগ।
অভিনব এই ভাবনা যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত তিনি রেস্তরাঁর কর্ণধার অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। বিদেশেও বাঙালি খাবার খাইয়ে মন জয় করে নিয়েছেন সেখানকার মানুষের। তবে এই নতুন উদ্যোগ অবশ্য শুরু হচ্ছে আপাতত কলকাতার রেস্তরাঁতেই। এ প্রসঙ্গে অঞ্জন বলেন, ‘‘কলকাতায় আরম্ভ হল। আমার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা কলকাতাতেই শুরু হয়। ভাল সাড়া পেলে পরে বিদেশের রেস্তরাঁতেও হয়ত এমন কিছু করার পরিকল্পনা করব। তবে এখনই নয়।’