একসঙ্গে অনেকটা পেঁয়াজ কিনে আনলেও পচবে না, কৌশল শিখে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
বর্ষার সময়ে যে কোনও সব্জিই খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সে আলু হোক, পেঁয়াজ বা শাকপাতা। এ দিকে কর্মব্যস্ততায় রোজ বাজার করাও সম্ভব নয়। অনেকেই আছেন, যাঁরা একবারে বেশি করে আলু-পেঁয়াজ কিনে আনেন। কিন্তু দেখা যায়, বেশ কিছু দিন পরেই সেই পেঁয়াজের ঝাঁঝ চলে গিয়েছে কিংবা পচন ধরতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের উপায় জানা থাকলে এত সমস্যা হবে না।
কী ভাবে পেঁয়াজ তাজা রাখবেন?
১) ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গা বেছে নেওয়াই শ্রেয়। খুব বেশি রোদ আসে এমন জায়গায় পেঁয়াজ রাখা যাবে না। তবে অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে জায়গাতেও পেঁয়াজ রাখবেন না। আলো-বাতাস চলাচল করে, এমন জায়গায় ছড়িয়ে রাখতে হবে পেঁয়াজ।
২) বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে আনার পর প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে রেখে দেবেন না। খবরের কাগজ বা পাটের বস্তায় রাখলে পেঁয়াজ দীর্ঘ দিন ভাল ফ্রিজের তাপমাত্রায় নানা ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। পেঁয়াজ কেটে রাখলে সেই সব ব্যাক্টেরিয়া পেঁয়াজেও মেশে। সেই পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। থাকে। ঝুড়িতেও পেঁয়াজ ছড়িয়ে রাখলে অনেক দিন তাজা থাকবে।
৩) ভুলেও আলু আর পেঁয়াজ এক ঝুড়িতে বা বাক্সে রাখবেন না। আলু থেকে যে আর্দ্রতা বেরোয় তা পেঁয়াজকে তাড়াতাড়ি নষ্ট করে দিতে পারে।
৪) পেঁয়াজ কখনওই ফ্রিজে রাখবেন না। অতিরিক্ত ঠান্ডায় পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি, পেঁয়াজের স্টার্চ নষ্ট হয়ে গিয়ে তাতে ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। ফ্রিজে আরও বিভিন্ন রকম রান্না খাবার, কাঁচা সব্জি বা মাছ-মাংস থাকে। এ সবের মধ্যেই কাঁচা পেঁয়াজ রাখলে তার থেকে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে।
৫) পেঁয়াজ যদি কুচিয়ে ফেলেন, তা হলে তা প্লাস্টিকে মুড়ে বা বায়ুনিরুদ্ধ পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
৬) ঝুড়িতে অনেক পেঁয়াজের মধ্যে কোনটি পচে যাচ্ছে, তা খেয়াল করতে হবে। পচা পেঁয়াজ সরিয়ে না ফেললে, তা বাকিগুলিকেও তাড়াতাড়ি পচিয়ে দিতে পারে।