দোলমা পোলাও। ছবি: সংগৃহীত
পটলের নাম শুনলে নাক সিঁটকোন অনেকেই। বিশেষ করে এই শীতকালে পটল বিমুখ মানুষের সংখ্যাটাও খুব একটা কম নয়। পটল আলুর তরকারি বা পটল ভাজা খেয়ে পটলে অরুচি হলে এই শীতে পটল, পোলাওয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাতে পড়ুক নতুন রূপে। বানিয়ে ফেলুন দোলমা পোলাও। রইল প্রণালী।
উপকরণ
পটল: ২০ টি
ঘি: চার চা চামচ
মোরব্বা: ২৫০ গ্রাম
বাসমতী চাল: ২৫০ গ্রাম
বাদাম: ১২০ গ্রাম
পেস্তা: ৩০ গ্রাম
কিশমিশ: ১৫০ গ্রাম
দুধ: দু লিটার
চিনি: ২৫০ গ্রাম
কাগজি লেবু: দু টি
জাফরান: এক চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: এক চা চামচ
ছবি: সংগৃহীত
প্রণালী
প্রত্যেকটি পটলের খোসা ছাড়িয়ে বীজ ফেলে দিন। সাতটি পটল আলাদা করে কুচিয়ে রেখে দিন।
মোরব্বা, বাদাম ও পেস্তাগুলিও কুচি করে কেটে নিন।
এ বার ওই কুচিয়ে রাখা পটলগুলি সেদ্ধ করতে বসান। মিনিট পাঁচেক পরে আস্ত পটলগুলিও দিয়ে দিন। সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে জল নিংড়ে নিন।
কুচি করে কেটে রাখা বাদাম, মোরবা, পেস্তা আর সেদ্ধ পটল কুচি এক সঙ্গে মেখে একটি পুর বানিয়ে নিন। পুরটি আস্ত পটল সেদ্ধর মধ্যে ভরে সুতো বেঁধে দিন।
এ বার অন্য একটি পাত্রে দেড় কাপ জল, দারচিনি, চিনি, লবঙ্গ, এলাচ দিয়ে আঁচে বসান।
চিনি গলে এলে কিশমিশ, মোরব্বা, জাফরান, অল্প গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে দিন। রস ঘন হয়ে এলে লেবুর রস দিন।
আরেকটি পাত্রে গি গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ,দারচিনি, লবঙ্গ, অল্প কিশমিশ দিয়ে নাড়তে থাকুন।
সুন্দর গন্ধ বেরোলে ভিজিয়ে রাখা চাল দিয়ে দিন। আরেকটু নাড়াচাড়া করে বাদাম-পেস্তা আর দুধ দিয়ে ঢেকে দিন।
খানিক বাদে ঢাকা খুলে জাফরান দিন। তিন-চার মিনিট অন্তর নাড়তে থাকুন।
চাল সেদ্ধ হয়ে এলে চিনির শিরা দিয়ে নামিয়ে নিন।
পোলাওয়ের উপর পটলের দোলমা, কিশমিশ, পেস্তা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দোলমা পোলাও।