রবিবারের দুপুরের ভোজে জমে যাবে মটন তেহারি। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার দুপুরে একটু মাংস-ভাত না হলে মনটা কেমন যেন করে! কিন্তু ছুটির দিনে হেঁশেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মাংস রান্না করতে অনেক সময়ই আলস্য আসে। তবে মাংস না হলে তো বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলেরই মনখারাপ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কিন্তু বাংলাদেশের জনপ্রিয় পদ তেহারি রেঁধেই মুশকিল আসান করতে পারবেন। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
৩০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল
৫০০ গ্রাম পাঁঠার মাংস (হাড় ছাড়া)
পরিমাণ মতো সর্ষের তেল ও ঘি
১ টেবিল চামচ তেহারি মশলা (জায়ফল, জয়িত্রী, সাদা মরিচ, এলাচ গুঁড়ো)
১ টেবিল চামচ কেওড়ার জল
১ টেবিল চামচ গোলাপ জল
১ চা চামচ গরম মশলা
১ কাপ পেঁয়াজ কুচি
২ টেবিল আদা বাটা ও রসুন বাটা
৪-৫টি চেরা কাঁচা লঙ্কা
আধ কাপ টক দই
তেজপাতা ২টি
খোয়া ক্ষীর: ২ টেবিল চামচ
বেরেস্তা: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
কড়াইতে প্রথমে পরিমাণ মতো সর্ষের তেল, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ অল্প ভেজে তার মধ্যে আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। এ বার তেহারি মশলা আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন।
মশলা কষানোর পর মাংসগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার দই মিশিয়ে নিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে মাংস প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে নিন।
মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে ভাল পরিমাণে ঘি মিশিয়ে দিন। এ বার কুকার থেকে মাংসগুলি তুলে নিন। অবশিষ্ট ঝোলে চাল দিয়ে নাড়াচাড়া করে একে একে গোটা গরম মশলা, শাজিরে, নুন ও চিনি দিয়ে দিন। এ বার চালের দ্বিগুণ পরিমাণ জল দিয়ে দিন কুকারে। জল ফুটে এলে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে কুকারে ভাত সেদ্ধ করে নিন।
ভাত সেদ্ধ হয়ে এলে চালের সঙ্গে মাংস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার খোয়া ক্ষীর, বেরেস্তা আর তেহারি মশলা ছড়িয়ে খানিক ক্ষণ দমে রাখুন। গরমাগরম পরিবেশন করুন মটন তেহারি।