ছবি: সংগৃহীত।
টক দই খাওয়ার কত যে উপকারিতা, তার ইয়ত্তা নেই। বারোমাস টক দই খাওয়ার চল আছে অনেক বাড়িতেই। মেনুতে কালিয়া-কোর্মা থাক কিংবা ডাল-ভাত, শেষ পাতে টক দই থাকবেই। তবে অনেকেই দোকানের প্যাকেটবন্দি দই খেতে পছন্দ করেন না। বাড়িতেই দই পাতেন। বাড়িতে পাতা দই নিঃসন্দেহে শরীরের বাড়তি যত্ন নেয়। দই দিয়েই মূলত দই পাতা হয়। যাকে বলা হয় দম্বল। কোনও দিন যদি দম্বল রাখতে ভুলে যান, তা হলেও চিন্তার কারণ নেই। দম্বল ছাড়াও দই তৈরি করতে পারেন। কী ভাবে? রইল প্রতিটি ধাপের হদিস।
প্রথম ধাপ
একটি পাত্রে পরিমাণ মতো দুধ নিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তবে খুব দ্রুত গরম যাতে হয়ে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফোটানো হয়ে গেলে গ্যাস থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
দুধ ঠান্ডা হয়ে এলে তার মধ্যে খানিকটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। পাতিলেবুর রসের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন ভিনিগারও। তবে যা-ই দিন, ভাল করে মিশিয়ে চামচ দিয়ে গুলে নিন।
তৃতীয় ধাপ
দুধের পাত্রটি সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। হাওয়া চলাচল করে না, এমন কোনও জায়গায় পাত্রটি রেখে দিন। খুব ভাল হয়, যদি বন্ধ মাইক্রোওয়েভ অভেনের মধ্যে রাতভর রাখতে পারেন। ৬-৮ ঘণ্টা অপেক্ষা না করলে দই জমবে না।
চতুর্থ ধাপ
অনেক সময় দীর্ঘ ক্ষণ রেখে দেওয়ার পরেও দই জমতে সময় নেয়। তেমন হলে আরও কিছু ক্ষণ ও ভাবেই বদ্ধ জায়গায় রেখে দিতে হবে। আর যদি দই ঠিকঠাক জমে গিয়ে থাকে, তা হলে বার করে নিন।
পঞ্চম ধাপ
দই জমে গেলে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। ৩-৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলেই হবে। তাতেই তৈরি হয়ে যাবে টক দই।