ভাজাভুজি দোকানের মতো কুড়মুড়ে বানানোর ৫ উপায় জানলেই হবে মুশকিল আসান। ছবি: ডিশ ওফ ডিলাইট।
উল্টোরথ মানেই ভাজাভুজি খাওয়ার দিন। সে দিন পাপড়, পেঁয়াজি, বেগুনি না খেলে মনটা ঠিক ভরে না। তবে বেগুনি বানালেই মিনিটে মধ্যেই সেগুলি নরম হয়ে যায়, আর সেই স্বাদ আসে না। চালের গুঁড়ো থেকে শুরু করে কর্নফ্লাওয়ার, সব ব্যবহার করেও কিছুতেই কুড়মুড়ে হচ্ছে না ভাজাভুজি?
আলুর চপ হোক কিংবা বেগুনি, চিকেন কাটলেট হোক কিংবা ফিশ ফ্রই— কায়দা না জানলে দোকানের মতো কুড়মুড়ে ভাব আসা মুশকিল! কোন টোটকা মানলে সব সময়েই ভাজাভুজি কুড়মুড়ে হবে, রইল তার হদিস।
১) বেসনে ডুবিয়ে তেলেভাজা ভাজার সময় বেসনের গোলায় দু’ চামচ গরম তেল আর সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন। এই টোটকা মানলে কিন্তু একেবারে দোকানের মতো ভাজাভুজি বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন।
২) বিভিন্ন তেলের ধূমাঙ্ক (স্মোকিং পয়েন্ট) বিভিন্ন হয়। তেল যত গরম হবে, ভাজাভুজি ততই কুড়মুড়ে হবে। সাদা তেল, যেমন বাদাম তেল বা সূর্যমুখী তেলের ধূমাঙ্ক বেশি। তাই ওই তেলে কিছু ভাজলে তা বেশি কুড়মুড়ে হয়।
ভাজার সময়ে তেল সঠিক মাত্রায় গরম না হলে কিন্তু ভাজাভুজি মুচমুচে হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কিছু ভাজার সময়ে তেল সঠিক মাত্রায় গরম না হলে কিন্তু ভাজাভুজি মুচমুচে হবে না। ঠান্ডা তেলে কখনওই পকোড়া বা কাটলেট দিলে তা কুড়মুড়ে হবে না। অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে আবার সেগুলি পুড়ে যাবে। তাই তেল ভাল করে গরম করে নিয়ে যখন ধোঁয়া উঠতে শুরু করবে, তখন গ্যাসের আঁচ খানিকটা কমিয়ে নিয়ে ভেজে ফেলুন পছন্দের স্ন্যাকস।
৪) খুব বেশি জিনিস একসঙ্গে তেলে ছেড়ে দিলে তা কখনওই কুডমুড়ে হবে না। তাই যে পাত্রে ভাজছেন, তার আকার বুঝে অল্প অল্প করেই ভাজা শ্রেয়।
৫) হাতে একটু সময় থাকলে ডবল ফ্রায়িং পন্থা বেশ ভাল! এ ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও ভাজাভুজি তেলে ছেড়ে আধভাজা করে তুলে রাখুন। খাওয়ার আগে ফের আর এক বার তেলে দিয়ে ভেজে নিন। এতে কুড়মুড়ে হবে আপনার নাস্তা।