কেক হবে দোকানের মতো, জানতে হবে ৫ ফিকির। ছবি: শাটারস্টক।
ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে লোভনীয় কেকের ছবি দেখে বাড়িতেও বানিয়ে ফেলতে মন চায়? তবে বেকিংয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা মনে আসতেই গায়ে যেন জ্বর এসে যায়! কেক বানাতে গিয়ে হয়ে গিয়েছিল বিস্কুট। বেশ কিছু খামতি থাকার কারণে বাড়িতে বানানো কেক ঠিক মনের মতো হয় না! কখনও তাপমাত্রার হেরফের, কখনও ভুল পাত্র ব্যবহার, কখনও আবার উপাদানের অনুপাতে গোলমাল— কেক, কুকিজ বানানোর ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি অনেকেরই হয়। কিন্তু কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন বেকিংয়ে পারদর্শী।
১) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে উপকরণগুলি যেন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে, সে বিষয়ে নজর রাখা ভীষণ জরুরি। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা দুধ কিংবা ডিম বার করেই কেক বানাতে শুরু করবেন না। এতে কেক কখনওই ফুলবে না।
২) বেকিংয়ের সময়ে সঠিক পরিমাণে ময়দা, চিনি, মাখনের ব্যবহার খুব জরুরি। উপকরণের মাত্রা ভুলভাল হয়ে গেলেই আর দোকানের মতো কেক হবে না। উপকরণ মাপার জন্য ‘বেকিং কিট’ কিনতে পাওয়া যায়। বেকিংয়ের শখ থাকলে সে রকম একটি কিট কিনে নিতে পারেন। প্রণালী ঠিক করে জেনে নিয়ে তবেই কেক বানানো শুরু করুন। যদি কোনও বই কিংবা ইন্টারনেট দেখে কেক বানান, তা হলে পদ্ধতিগুলি পর পর মেনে চলা জরুরি।
৩) বেকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অভেনটি ‘প্রি হিট’ করা। অনেকেই প্রেশার কুকারে কেক তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রেও কুকারটি গরম করে নিতে ভুলবেন না। বেকিং ট্রে-তে মাখন কিংবা সাদা তেল মাখিয়ে শুকনো ময়দা লাগিয়ে নিন। এতে কেক ট্রেতে লেগে থাকবে না।
কেক ঠান্ডা হয়ে গেলে তবেই বেকিং ট্রে থেকে বার করুন। ছবি: শাটারস্টক।
৪) কেক, কুকিজ কিংবা মাফিন বানানোর সময়ে এক চিমটে নুন ব্যবহার করুন। এতে স্বাদ বাড়বে। কেক তৈরি হয়ে গেলে সেটি গরম অবস্থায় টিন থেকে বার করবেন না। কেক ঠান্ডা হয়ে গেলে তবেই বেকিং ট্রে থেকে বার করুন।
৫) অনেকেই মনে করেন, অনেক ক্ষণ ধরে মিশ্রণটি ফাটালে কেক নরম হবে। এই ধারণা একেবারেই ভুল। চিনি এবং সব তরল উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। ময়দা দিয়ে খুব বেশি ক্ষণ ফেটানোর প্রয়োজন নেই। ময়দা সব উপকরণের সঙ্গে ভাল করে মিশে গেলেই কেক বানানো শুরু করতে পারেন।